তোমার বাড়ির জানালা
আমার দু'চোখ থেকে মাত্র
আমারই শরীর সমান দূরতম।


বুক পোড়া রোদে তোমার বাড়ির ছায়াতে
আমি ক্লান্ত দাঁড়কাকের মতো দাঁড়িয়ে আমার শরীর জুড়াই।
কপাল থেকে ঘাম ঝরতে থাকা চোখের উপরের লবণজল সরিয়ে
তোমার জানলার দিকে তাকিয়ে থাকলে  হঠাৎ আগোছালো বাতাসে পর্দা সরে গেলে
মাঝে মাঝে দেখা দেয়,
-রঙিন ফুলের ছাপ দেওয়া তোমার বিছানার গর্বিত চাদর আর বালিশ,
-আলনায় এলোমেলো তোমার নির্লজ্জ শাড়ির ঝলক,
-টেবিলে পড়ে থাকা একটি নিঃসঙ্গ চায়ের কাপ,
- ঠাণ্ডা জলের শোকার্ত বোতল,
-ঘরের ভিতরে ভাসতে থাকা  নিখোঁজ কিছু সাদা নীল বোকা মেঘ।


একসময় রূপকথার রাজকন্যার মতো সেই মেঘের ভিতর দিয়েই হেঁটে হেঁটে তুমি জানালার পাশে এসে দাঁড়াও।
তোমার শরীর এখন আমার শরীর সমান দূরতম।


আমি ভিখারির মতো মেলে দেই আমার আমার ক্ষুধার্ত বুক।
যদি তুমি মেঘ থেকে বৃষ্টি নিয়ে কিছু বিশুদ্ধ জল ঢেলে দাও সেখানে,
তখনই আমি গলে যেতাম কাদা মাটির মতো তোমার শরীরে।
তোমার শরীর তখনও আমার শরীর সমান দূরতম।


আমাদের শরীরের দূরত্ব কমানোর ব্যর্থতায় জেদি হচ্ছি দিন দিন,
তাইতো আমি নিজের শরীর নিজেই টেনে টেনে লম্বা করছি প্রতিনিয়ত।


আজকাল জানালার পর্দা দু’হাতে সরিয়ে তোমার ঘরের ভিতরেই
আমার আশাহত ছায়া আমার শরীরের ক্লান্তি জুড়ায়,
তোমার শরীরের এখন আমার ছায়ার  গরম নিঃশ্বাস ঘুরে বেড়ায়।


তোমার শরীর এখন আমার স্বপ্নের সমান দূরতম।
----------
র শি দ  হা রু ন
০৬/০৬/২০২১