ইদানীং প্রায় প্রতিদিন অফিস ফেরত বিকেল বেলাগুলোতে পার্কে একা বসে থাকি,
চুপচাপ বিষণ্নতা গায়ে মাখা সূর্যাস্ত দেখি
গাছের পাতার আড়ালে।
একটা অপরিচিত কুকুর প্রতিদিনই আমার আশপাশপ ঘুর ঘুর করে,
আমাকে দেখে।
কেউ যেন তাকে আমার খবর নিতেই পাঠায় প্রতিদিন!


সূর্য ডোবার সাথে সাথে চারদিক অন্ধকারে ডুবে যায়,
রাস্তার গাড়ির বাতিগুলোও বিষণ্নতার আলো ছড়াতে ছড়াতে চলে যায় নিজের ঠিকানায়।


আমি পার্কের ‌অন্ধকারে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকি,
অন্ধকারে সবকিছুই দূরে চলে যায় চোখের আড়ালে।
আমার মনে ভয় হয়
না জানি অন্ধকারে এভাবে বসে থাকতে থাকতে
একদিন আমার শরীর থেকে এক অন্ধ গাছ জন্মায়।
প্রতিদিনই একটা না একটা জোনাকি পোকা
ভুল করে গাছ ভেবে আমার শরীরে এসে বসবে ।
একসময় আমার দেহের ছায়াও চলে যায়
অন্ধকারে আমাকে একা ফেলে।


মনোলীনা
ছায়ার কী দোষ?
সেতো তোমার কাছ থেকেই শিখেছে,
এই চলে যাওয়া।

সবাই বাড়ি ফিরে যায় রাত হলেই,
ঘরের বাতি নিভিয়ে চুমো দেবার মানুষটাকে টেনে নেয় বিছানায়।


রাত বেড়ে গেলে একসময় চাঁদের আর ল্যাম্পপোস্টের আলোর মাখামাখিতে
ভিজতে ভিজতে আমি বাড়ি ফিরি।
একা
একেবারেই একা।


মনোলীনা,
তুমি বিহীন রাত্রিবেলা ঘরের বাতি নিভিয়ে হাত-পা ছাড়িয়ে সমুদ্রসম খালি বিছানায়
আমি কাঁদতে বসি।
এভাবে কী দিন যায়!
দিন যায়!
দিন যায়!
তোমার ‌অপেক্ষায় বসে কাঁদি
তবুও তোমাকে জানতে দেইনা কখনো।


সকাল হয়
সূর্য উঠে,
তবুও তোমার আমার ‌অভিমানের মেঘ সরে না।


মনোলীনা,
তুমিও কি রাত্রিবেলা বাতি নিভিয়ে হাত-পা ছড়িয়ে খালি বিছানায়
আমার মতো কাঁদতে বসো?
——————————-
র শি দ  হা রু ন
০৪/০৮/২০২২