মনোলীনা,
আমিও একদিন যুবক ছিলাম
বুকের মধ্যে তীব্র হাহাকার  ছিল আমার
বুকের মধ্যে তীব্র ভালোবাসা ছিল আমার
বুকের মধ্যে তীব্র  অভিমান ছিল আমার
বুকের মধ্যে তীব্র বিলাসী দুঃখ ছিল আমার।


মনোলীনা,
বিশ্বাস করো আমিও একদিন যুবক ছিলাম,
রক্তের মধ্যে ছিল সন্যাসের নেশা,
ছিল অবহেলা করার নেশা,
ছিল খুন হয়ে যাওয়ার নেশা,
ছিল খুন করার নেশা।


মনোলীনা,
যৌবন এর প্রথম কালে আমি ছিলাম নিষ্ঠুর ডাকাত,
কত কিছু না বলে নিয়েছি তোমার,
কতবার যে তোমাকে খুন করেছি নিজের ভিতর
আমি নিজেও খুন হয়েছি কতবার  ,
তার হিসাব রাখেনি,
কেমন বেহিসাবি ছিলাম  যৌবনে আমি,
পাহাড় থেকে ঝাপ দিয়েছি মৃত্যুকে ভয় দেখিয়ে
সাতার না জেনেও তোমার সমুদ্রে ঝাপ দিয়ে
কতবার যে মরেছি তার ও হিসাব রাখিনি,
যৌবনে বয়স আটকে ছিল আমার হাতের মুঠোয়।

মনোলীনা,
আমার হাতের মুঠো আজ আলগা হয়ে আছে
এখন আমার বয়স বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন,
চুল গুলো পাক ধরেছে আমাকে খুব অবহেলা ভরে,
মুখের চামড়া আমকে ইদানীং ভয় দেখায়
আয়নার দিকে তাকালেই,
যৌবনে, যে বৃষ্টির ফোটা বাষ্প হয়ে যেত শরীরের তাপে,
এখন তা শরীরে মেখে যায়,
শীতল হয়ে অনায়াসে
তীব্র জ্বর হয়, মাথা ব্যথা করে।
শুধু আমার চোখ দুটো  
আগের মতই আছে
তোমাকে আগের মতই দেখায়,
এতটুকু অস্পষ্টটতা নেই,
ঠিক যৌবন কালের মতই স্পষ্ট দেখি তোমাকে।


মনোলীনা,
প্রতিটি জন্মদিন আমাকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে যায়,
আমার বয়স বেড়ে যায়,
চোখের কোন বয়স হয়না
মরে গেলেই তো সব শেষ
আমি কিন্ত্তু চোখ খোলা রেখেই মরবো
তোমাকে দেখতে দেখতে
তোমাকে দেখতে দেখতে।
----------------------------------------
জি, এম, হারুন অর রশিদ
০১/০৮/২০১৭