মনোলীনা,
অনেক দিন হলো রাতে প্রায় প্রতিদিনই আমি স্বপ্নে নদী দেখি।
ঠিক নদীর মাঝ বরাবর আমি ভাসছি।
আকাশের দিকে চোখ খোলা ,
একটা গাংচিল অনবরত চক্কর দেয় মাথার উপর।
আমি অনেক চেষ্টা করেও সাঁতার কাটতে পারিনা
কোনো কুলও দেখা যায়না কখনোই।
এক সময় ভয়ে তীব্র পিপাসা পায় আমার।
অথচ নদীর জলেই ভাসছি,
পারিনা মুখ উল্টে জল খেতে,
তীব্র পিপাসায় নিয়ে জেগে উঠি ঘুম থেকে।
বাতি জ্বালিয়ে তাড়াতাড়ি জলের গ্লাসে হাত বাড়াই।
আলোতে তাকিয়ে থাকি বিছানাটার দিকে,
বা’দিকটা খালি অনেকদিন যাবত,
আমি ভুলতে বসেছি তুমি একসময়  ঘুমোতো এখানে।
শুধু দেওয়ালে টানানো ছবিটা তোমার কথা মনে করি্য়ে দেয়।


মনোলীনা,
তুমি চলে যাবার পর থেকে আমি ভালোই আছি,
একটা আস্ত বিছানা দাবড়িয়ে ঘুমাই
শধু নদী’র স্বপ্নটা বিরক্ত করছে প্রতি রাতে।


মনোলীনা,
তুমি কখনোই বুঝবে না,
নিঃসঙ্গ মানুষ মাঝ নদীতে ভাসতে ভাসতে ও তীব্র পিপাসায় ছটফট করে।
নিজের বিছানাও হয়ে যায় একটা-
‘অভিমানের নদী’,
একটা ‘দুঃস্বপ্নের নদী’,
আর একটা ‘হাহাকারের নদী’।


মনোলীনা,
আমার এখন সারাদিনই তীব্র পিপাসা পায়,
যদি তোমার কখনো ফিরতে ইচ্ছে হয়
তখন, আমার জন্য সারাজীবনের পিপাসার জল নিয়ে এসো।
——————————
রশিদ হারুন
০৮/০৭/২০১৯