সারারাত অঘুমে থেকে ফজরের আজানের পর পরই গল্পটা লেখা শেষ হলো।


সারারাতের  অঘুমা শরীর মনের ঝগড়া মেটাতে
এক কাপ গরম চা নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নতুন সূর্যের দিকে তাকিয়ে মনে হলো,
বালকটিকে বাঁচিয়ে রাখলেই পারতাম;
গল্পের মৃত বালকটির কথা ভাবতেই
আমার চোখের দু’ফোঁটা জল  টুপ করে এসে পড়ল গরম চায়ের কাপে।


আমার ভিতরে সে রকম কষ্ট হতে লাগলো,
যে রকম কষ্ট
যখন কোনো প্রিয় বন্ধুকে বিদায় দেওয়ার সময় আমরা বলি,
“বন্ধু আবার দেখা হবে”
অথচ আমরা বুকের ভিতরে সাথে সাথেই টের পাই
সেই বন্ধুর সাথে এই জীবনে আর কোনদিনই দেখা হবে না।


গল্পের মৃত বালকটির কথা ভেবে আমার চোখের জল ক্রমশ বাড়ছে!


——————————
র শি দ  হা রু ন
০৩/০৭/২০২২