হুলিয়া ঘুরছে শহরময়
খুঁজছে কিছু মানুষকে।


এজন পুরুষ মানুষ বলেছিলো,
“আমি বোধহয় একজন ধর্মহীন ও রাষ্ট্রহীন মানুষ,
সকল ধর্মগ্রন্থ ও সংবিধানেই গরম ভাতের সম অধিকারের কথা আছে জানতাম,
আমার যদি ধর্ম ও রাষ্ট্র থাকতো তাহলে হয়তো প্রতি বেলাই গরম ভাতের তাপ পেতাম মুখে,
বলুনতো এতো গরম ভাত কাদের পেট গরম করে?”


একজন কিশোর বলেছিলো,
“আমার বাবা কে?
মা’ও জানেনা,
গরম ভাতের জন্য আমার মা
অনেকে পুরুষের শরীর গরম করেছে,
গরম ভাতের চেয়ে গরম শরীরের দাম অনেক কম,
আমি শহরের সব পুরষদের ডি,এন , এ পরীক্ষার দাবী জানাচ্ছি,”


একজন নারী বলেছিলো,
“ খারাপ পুরুষের গল্প কিন্তু খুব মজার হয়,
আমার কাছে অনেক পুরুষের মজার গল্প জমা আছে,
গরম ভাতের জন্য কিছু গল্প বিক্রি করবো”
তারপর শহরের পুরুষগন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।


একজন যুবক বলেছিলো,
“ দেখুন ভরা পেটে ঘুষ চাইলেও আপনারা খুশি হয়ে দিয়ে দেন,
আর আমি ক্ষুধার্ত পেটে গরম ভাত চেয়েছিলাম,
তাই বলে ভিখারী বলে গালি দিলেন,
আপনার বাবা দাদা’রা কিন্ত্তু গরম ভাতের জন্যই এই দেশে এসেছিল,
আয়নায় নিজেদের দেখবেন মাঝে মাঝে”।


একজন কবি বলেছিলো,
“কবিতা আর গরম ভাত দুটো একই,
দু’টোই আমাকে কষ্ট দেয়,
ঈশ্বর,
আপনি সবার জন্য গরম ভাতের ব্যাবস্থা করুন,
তা নাহলে আজ থেকে আমি কমিউনিষ্ট হয়ে যাবো”।


তারপর থেকে কিছু হুলিয়া ঘুরছে শহরময়,
হুলিয়াতে বড় করে লেখা আছে,
“এদের যেখানেই দেখবেন,
ধরে মুখ সেলাই করে দিবেন,
অপ্রাসংগিক কথা বেশি বলে শহরে আতংকে ছড়াচ্ছে,
আর আপনাদের গরম ভাত সাবধানে রাখবেন”।
——————
রশিদ হারুন
২০/০২/২০১৯