আজরাইল ফেরেশতা মাঝেমধ্যে হুটহাট ঘরের ভিতরে এসে ঢুকেন আর
লজ্জায় পড়েন বারবার।
উনার শরীর জলে ভিজে যায়,
ঘরের ভিতরে এক কোমড় জলে দাঁড়িয়ে হতাশ হয়ে তিনি আমার দিকে তাকান।


ম্যাপললিফ পাতার মতো ঝরে পড়ে মরে গেছি কবে, কেউ জানেনা।
সারা শরীর হলুদ রঙ হয়ে জলে ভাসছি একলা ঘরের এক কোণে;
আজরাইল ফেরেশতাও টের পায়নি,
তাই ভুল করে প্রায়ই চলে আসেন তিনি আমার জলে ডুবা ঘরে।


এজমা রোগীর মতো নিঃসঙ্গ ঘরের বুকের জলের উঠানামার শব্দ টের পান শুধু তিনি।
শেষ টিকটিকিটিও একাকীত্বের ভয়ে ঘর ছেড়েছে সেই কবে,
ঘরে একটি জীবন্ত প্রান খুঁজে খুঁজে পেরেশান হন বারবার।  
কার জান নিবেন তিনি,
খুব কষ্টে পড়ে যান প্রতিবার।


আমি শুধু আজরাইল ফেরেশতার জন্য মন খারাপ করি প্রতিবার,
আহারে....
খোদার কাছে কী জবাব দিবেন তিনি!
————————————————
র শি দ  হা রু ন
০২/০৯/২০২০