কলিং বেলের তীব্র ডাকে ঘুম ভাঙার পর দরজা খুলতে বোধহয় একটু সময় নিয়েছিলাম।
আশ্চর্য , কেউ নেই দরজায়!
মাথা বের করে দরজার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম,
কোথাও কেউ নেই!
দরজা আটকিয়ে বিছানায় ফিরতেই
একটা অস্বস্তি দাবড়াতে লাগলো।
যেভাবে দরজার ওপারের মানুষটা চলে গেলো,
ঘুমও চলে গেলো একই ভাবে
কিচ্ছু না বলেই।
এত সকালে কে এসে খুঁজলো আমাকে!
কেউ বিপদে পড়ে আমাকে খুঁজছে নাতো?
কারো কি খুব প্রয়োজন ছিল আমাকে ?
বন্ধু শাহেদ আসেনিতো?
শাহেদ কখনো বলে কয়ে আসে না।
অথবা অন্য কেউ কি ভুল দরজায় এসে দাঁড়িয়েছিলো?
এক তীব্র মনোবেদনায় আমার বুকে অস্থিরতা শুরু হলো।
আহারে সময় মতো দরজা না খোলাতে না জানি মানুষটা কতো কষ্ট পেয়েছে,
অথবা চরম হতাশ হয়েছে আমার আচরণে।
আমি কিছুক্ষণ পর পর দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকলাম,
তবুও কারো দেখা নে‌ই,
সেদিন সারাদিনই ঘরের মধ্যেই আটকে রাখলাম নিজেকে।
রাতে বেলা ফোনে সারাদিনের এই অস্বস্তির গল্প বলতেই
মনোলীনা বললো,
“যার দরকার হবে সে আবার আসবে নয়তো ফোন করবে,
এতো অস্বস্তি আর কল্পনার কিছু নেই কবি।
দিনরাত বসে বসে শুধু কবিতার কথা ভাবলে
সবারই এমন হবে।"
——————————
র শি দ  হা রু ন
১৩/১১/২০২১