তুমি সাঁতার শিখতে চেয়েছিলে বন্ধ্যা পুকুরে,
অথচ আমি কিনা বোকার মতো অস্থির হয়ে
একটা ক্ষ্যাপা নদী পালক নিলাম এই বুকে।


এখন তোমার সাঁতারের দাবড়ানিতে
আমার পালক ক্ষ্যাপা নদীর জল উছলায়
শুধু উছলায়,
তার সাথে উছলায় আমার শরীর।
আমি সংশয়ে থাকি প্রতি মুহূর্তে
তোমার উছলানিতে আমার বুকের দু’কুলের জমিন
না জানি ভেঙে যায়।


‘মনালোয়া’ আগ্নিগিরি অনেকদিন  থেকে  আমার বুকের জমিনে লুকিয়ে  আছে!
তুমি কি তা একবারও টের পাওনি
এই জলে ডুব সাঁতার দিয়ে?
আর আমিতো জানতামই না
এই বুকের উথাল-পাথাল রূপকথার কাহিনী !


মাঝে মাঝে নদীর জলে যখন আচমকা আগুন ধরে
ঠিক তখনই টের পাই
জ্বলে যায় আমার মাথা,
জ্বলে যায় আমার বেহায়া জীবন।
তারপর কেমন যেন সব পাগল পাগল লাগে
হাওয়াই মিঠাইয়ের এই দুনিয়ায়।


মাছরাঙা পাখির মতো তোমার শিকারি চাহনিতে
আমার শরীরের ভিতরের জোয়ান খ্যাপা মাছটা-
আত্মদ্রোহী হয়ে মরার জন্য শুধু আস্ফালন করে দিনরাত!
তোমার ধারাল দুই রঙিন ঠোঁটে মাছটা মরতে
উছলায় -
খালি উছলায়।
আহারে মরতে উছলায়!


তুমি সাঁতরাও
যতো খুশি সাঁতরাও
আমার বুকে পালক নেওয়া এই ক্ষ্যাপা নদীতে।


মাছরাঙা পাখির দোহাই
শুধু একটু যত্ন নিও
আমার বুকের দু’কুলের জমিন
যেন না ভাঙে,
বুকের জমিন যেনো না ভাঙে।


--------
র শি দ  হা রু ন
০১/০৭/২০২১