আমি কবি হওয়ার স্বপ্ন বহুকাল যাবত  বুকে পালছিলাম।
নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিলাম অসামাজিক ভাবে।
অনেকদিন ধরে হাত পায়ের নখ, চুল-দাড়ি কাটতাম না।
কবি হওয়ার প্রস্তুতিতে এক বিপন্ন বিষন্নতায় জীবনকে উপভোগ করছিলাম তখন।


সেই সমেয়ই প্রথম কবিতা লিখলাম ঘরের একমাত্র আয়নার গায়ে- কালোকালির মার্কার কলম দিয়ে।
একটি শব্দে-
“ঈশ্বর!”
সারাদিন ঘুরেফিরে অনেকবার ঘরের আয়নাটা দেখতাম।
নিজেকে চিনিয়ে রাখতাম;
সবাই ভুলে গেলেও আয়না যেনো আমাকে  ভুলে না যায়।


তারপর ফের একদিন আবার
হাত পায়ের নখ, চুল-দাড়ি কেটে
কোট-টাই পরে দিব্যি সামাজিক হয়ে আবার অফিসে গেলাম।
জ্বি স্যার, জ্বি মহোদয় লিখতে- বলতে সারাদিন পার করলাম।


রাতের বেলায় বাসায় ফিরে যখন আয়নায় তাকালাম-
দেখলাম সেই বড় বড় নখ আর দাড়ি চুলের আগের মানুষটি আয়নায় আটকা পড়ে আছে।
'ঈশ্বর!' লেখাটি জ্বলজ্বল করে যেনো তাকিয়ে আমার দিকে।
আর আমার বিছানায় শুয়ে আছে,
কোট-টাই পরা আমারই চেহারার একজন মৃত মানুষ।


——————————
রশিদ হারুন
১৫/০৪/২০২০