মনোলীনা,
তুমি মেসোপটেমিয়া থেকে ইনকা সভ্যতা ধ্বংসের কথা জানো।
তুমি বৃটিশ শাসনের আধিপত্য ধ্বংসের ইতিহাস শুনেছো।
তুমি  মহাকাশের শেষ প্রান্তের একটি তারার ধ্বংসের খবরও রাখো।
অথচ তুমি কখোনি খবর রাখোনি,
সেই ইতিহাসের -
যেখানে লক্ষ কোটি বছর ধরে
পুরুষ ধ্বংস হয় পুড়তে পুড়তে,
না পাওয়া এক নারীর শরীরের পোড়া বাড়ীতে।
আর কখনোই  না দেখা এক স্বপ্নশোকে।


মনেলীনা,
পুরুষের ধ্বংসের ইতিহাস তুমি শুনতেও চাওনি কখনো!!
তুমি পুরুষ ধ্বংসের সভ্যতার ইতিহাস পাবে-
প্রতিটি অন্ধ জোনাকির খসে পড়া ডানার আত্মহননের অমিমাংসিত গল্পে।
আর পাবে সেই ইতিহাস
প্রতিটি নারীর দেবী সেজে থাকার বানিজ্যে।


মনোলীনা ,
এতো ইতিহাস ঘাটতে হবে না,
তারচেয়ে বরং তুমি আমার ধ্বংসের ইতিহাস দেখো।
তোমার কাছে গেলেই-
কেমন যেনো ভিজে মাটির মতো গলতে থাকি।
গলতে, গলতে একেবারে নষ্ট কাদা মাটি হয়ে যাই।
শখ করে তুমি সেই কাদা মাটি দিয়ে প্রাচীন ক্রীতদাসের মূর্তি বানাও।
সেই মূর্তি তুমি আবার অপ্রেমের রোদে পোড়াও।
তারপর গভীর রাতে গোপনে আমারই শরীরের অমিমাংসিত নষ্ট জলে আমাকেই ডুবিয়ে বিসর্জন করে দাও অবলীলায়।  


মনোলীনা,
আজ তোমাকে আমি
পুরুষ সভ্যতা উথানের ইতিহাস শুনাবো।
যেদিন থেকে একজনও অ-পুরুষ
দেবী সেজে থাকা (হোক সে বানিজ্যে)নারীর পায়ের বেদীতে -
নিজেরই আংগুল কেটে রক্ত  অঞ্জলী দিবে।
সেদিন থেকেই অ-পুরুষ দেবীর আশির্বাদে একটু একটু করে পুরুষ হয়ে উঠবে।


মনোলীনা,
আমি যেদিন পুরুষ হয়ে উঠবো
সেদিন তুমি সাবধানে থেকো।
আমি নিজেরই আংগুল কেটে রক্ত চুষে
তোমারই স্বাদ নিবো।
——————————
রশিদ হারুন
২৮/১১/২০১৯