আজ বিজয়ের দিনে
ঈশ্বর মনোলীনার সাথে আমার প্রথম দেখার ‌ব্যবস্থা করে দিলেন।
প্রথম দেখাতেই সাহস করে মনোলীনার কাছে জানতে চাইলাম,
“কতদিন মনে মনে ডেকেছি তোমাকে , এতদিনে তোমার সময় হলো?”
একথা বলার সাথে সাথে পৌষের শীতল রোদের সাথে আমার বুক থেকে কয়েকটি ফড়িং মুক্তি পেয়ে আকাশে উড়ে গেল,
আর মনোলীনা সেই আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, “ আজ একটি লাল বেলুনকে আকাশে স্বাধীনভাবে উড়তে দেখে কেন যেন তোমার কথা মনে পড়ল!”


বুকে আটকানো ফড়িংগুলো মুক্তি দিয়ে ভারমুক্ত হয়ে মনোলীনার চোখে চোখ রেখে বললাম,
“স্বাধীনতা শব্দটির চেয়ে ভালোবাসা সংশ্লিষ্ট  কোনো শব্দ কি আছে পৃথিবীতে?”
অথচ কী আশ্চর্য আমাদের চারপাশ দিয়ে বিজয়ের আনন্দ মিছিল থেকে হঠাৎ বিকট ভেপুঁর শব্দে সে আমার এই কথাটা শুনতেই পায়নি।


মনোলীনা আকাশের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলল ,
“ দেখ আজ বিজয়ের দিনে আকাশে ভয়ডরহীন কতকগুলো কবুতর উড়ছে,
আকাশটা নিঃসঙ্গ ছিল- তবুও তো এই দিনে কিছু বন্ধু পেল।"


আমিও আকাশের দিকে তাকিয়ে
প্রর্থনার মতো করে বললাম,
“স্বাধীনতা আর বিজয় দিনের আসঙ্গ যেমন বুকে সুখ আনে,
তেমনি মনোলীনা পাশে থাকলে একই সুখে আমার নিঃসঙ্গ বুকে লাল বেলুন আর কবুতর উড়তে থাকে।


হে ঈশ্বর,
মনোলীনা যেনো আর না যায়”
———————
র শি দ  হা রু ন
১০/১২/২০২২