প্রথমে স্বপ্নে,
তারপর আধো জাগরণে-
ছিটকে পড়ল কিছু জল শরীরে আর মনের ভিতরে।
আশ্চর্য রকম শীতল
অথচ শরীর মন আগুন- পোড়া হাহাকারে ছটফট করে উঠল।


ঘুম ভেঙে যায় অস্বস্তিতে।
গভীর রাতে বাদুরের কামড়ানো চাঁদের আলোতে জানালা দিয়ে তাকাই,
দেখি ল্যাম্পপোস্টের নিচে একজন মানুষ
দাঁড়িয়ে।


মনে হলো মানুষটি আমার জানালার দিকেই তাকিয়ে আছে অনন্তকাল ধরে।
এতো দূর থেকেও মানুষটিকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
চমকে উঠলাম।
ঠিক মৃত বাবার মতো লাগছে,
আবার আমার মতোও লাগছে মাঝে মাঝে!!


মানুষটির সাথে দেখা করার লোভে
দৌড়ে রাস্তায় নেমে আসি সাথে সাথে।
আশ্চর্য,
ল্যাম্পপোস্টের নিচে কোন মানুষ দাড়িয়ে নেই।
শধু একটি ছায়া হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে ল্যাম্পপোস্টের গায়ে।
আর পায়ে পড়ে আছে একজোড়া সত্যিকারের আসল স্যান্ডেল,
যেটি  আমি আর বাবা মাঝে মাঝে
বদলিয়ে পরে বাজারে যেতাম।


আমি চলে এসেছিলাম তখনই।
শধু আমার ছায়াটি আর কখনোই ফিরেনি আমার সাথে।


আমার বিছানাটা যে যে রাতে ভিজে থাকে
শরীর আর মনের জলে-
সেসব রাতে জানালা খুললেই দেখি,
ল্যাম্পপোস্টের নিচে দুটি ছায়া গল্প করছে নিশ্চিন্তে।
আর কিছুক্ষণ পরপর তারা পায়ের স্যান্ডেল বদলিয়ে পরছে।
———————————————
রশিদ হারুন
২৮/০৩/২০২০