সময়ের শরীরে এখন অভিমানের ছোঁয়া,


পিপড়ের পিঠে সওয়ার হয়েছে অভিমানী সময়,


মূহুর্তগুলো ক্লান্ত হয়ে এখন অবসাদ গ্রস্ত


হৃদয়ের চন্দন বনে গুমোট বাতাসের হাহাকার


এই সব কিছুই তোমারই শূন্যতায়।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–


বাস্তবতাকে দিয়েছি নির্বাসন


স্বপ্নকে করেছি সবচেয়ে আপন।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–


সূর্যের বুকে দিয়য়েছি


ব্লেডের আঁচড়


নীল আকাশের বুকে বিছিয়েছি


শোকের চাদর।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–


জলের বুকে অনল জ্বেলে


জলকে করেছি নষ্ট


সেই অনলে শীতল হতে গিয়ে


করেছি নিষ্ফল কষ্ট।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–


নারীদের চোঁখে খুঁজে বেড়াই


বিশ্বাসের ভূমি


অবিশ্বাসের জোনাকী সব চোঁখে


সেখানে নেই তুমি।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–


শৈশবের প্রিয় শিউলী তলায়


প্রতীক্ষায় থাকি


ক্লান্ত সূর্য ঘুমিয়ে পড়লে বুঝি


সবই ফাঁকি।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–


গোটা বসন্তের বিকেল লুকিয়ে ফেলি


বুকের খাঁজে


কোকিলের নিঃসঙ্গতার সুর বেজে যায়


হৃদয় মাঝে।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে–


পূর্নিমার চাঁদকে নখেঁর আঁচড়ে


করেছি ছিন্ন বিন্ন


অন্ধ আক্রোশে আকাশের শরীরে একে যাই


নিস্ফল পদচিঁহ্ন।।



তোমাকে খুঁজতে গিয়ে


এখন আর খোঁজ করিনা


হতাশার হাত ধরে অভিমানের সাথে রক্তাত্ত হই


অহরহ ঝলসে্ যাই চোঁখের জলে


বিবশ যন্ত্রনায় হয়ে যাই বিপ্লবী


এই সব কিছুই তোমারই শূন্যতায়


শুধু তোমারই শূন্যতায়।।





শাহপরান হল ।।


শাবিপ্রবি—৩০/০৮/১৯৯৪