পঞ্চাশ পার হলো
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর টিকে যেতে পারি।


আজকাল মনে হয় জীবনের বুকপিঠ দেখাতো সব শেষ,
বাকি দিনগুলোতে কী আর করবো!


বাকিটা সময় একটা সাদা বকের জীবন ধার করে পার করে দিতে পারি।


কয়েকটা দিনের জন্য রেল লাইন হয়ে বিশাল আকাশের নিচে শুয়ে থাকতে থাকতে স্বপ্ন দেখবো,
আমি খুব সুখে আছি।


একশ একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে মিথ্যে মিথ্যে জন্মদিন পালন করতে পারি একদিন।


শহরের সব পোস্ট অফিসে ঘুরে ঘুরে খোঁজ নিতে পারি
আমার নামে কোনো চিঠি পড়ে আছে কিনা বছরের পর বছর।


আমার সমস্ত বিষণ্নতা পঁচিশের কোনো এক তরুনকে ধার দিতে পারি কিছুদিনের জন্য।


সরকারি গোরস্থানে একটা কবর ভাড়া নিয়ে কিছুদিন থাকার অভ্যেসটা করে ফেলতে পারি আগেভাগে।


সারাজীবনের জমানো বুকের সব হাহাকার ঢেলে দিতে সমুদ্রের কাছেও যেতে পারি একবার।


সকালে বিদঘুটে তিতা কফির বদলে দুধ চা খাবো কয়েকদিন,
শেষ বয়সে একটু ভালোমন্দ খাওয়ার চেষ্টা আর কী!


বউ বাঁধা দিলেও যখন তখন টেনে নিবো বুকে,
বুড়োর ঢং দেখ! বলে হয়তো দূরে ঠেলে দিতে চাইবে,
তাতে আমার কিচ্ছু আসবে যাবেনা।


কিছুদিন বন জঙ্গলে গিয়ে গাছেদের সাথে গাছ সেজে দাঁড়িয়ে থাকবো একটা গাছের জীবনের জন্য।


কিছুদিন মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়াবো,
খুব শখ আমার
অন্তত একবার হলেও দেখতে চাই      
মানুষ হবার কষ্ট সহ্য করতে পারিনা কিনা।


একদিন ছায়াটাকে ঘরে আটকে রেখে ছায়াহীন হয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াবো।


পঞ্চাশ পার হলো,
এভাবে একেকদিন মেঘ বৃষ্টি জল হবো,
তারপর জলের মতো গড়াতে গড়াতে মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর পার করে
মাটির সাথে মিশে একেবারেই অদৃশ্য হয়ে যাবো একসময়।


পঞ্চাশ পার হলো,
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর-
জীবনের মোহ কেটে গেছে
তবুও মায়া কাটেনা।
——————-
র শি দ  হা রু ন
২৫/০৮/২০২২