সূর্য উঠার পর-পরই
দোতলা বাড়ির নিচে এসে দাঁড়ালাম ।
ল্যাম্পপোস্টের বাতি তখনও নিভেনি।
দু’টো কাক বসে গল্প করছে বারান্দার পাশ ঘেঁষে বেড়ে উঠা পেয়ারা গাছের ডালে।


বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন একজন ভদ্রমহিলা,
রাতের শাড়িটা শরীরে লেপ্টে আছে সমস্ত ভাঁজ ভেঙে।
বিছানার ঘুম চোখ থেকে পুরোপুরি যায়নি বোধ হয়।
আমি উপরের দিকে তাকিয়ে বললাম,
- -“‌অনেকটা মোটা হয়েছো,
মাত্র বিশ বছর ব্যাবধানে!
-তখনতো দু’জনই কলেজে পড়তাম,
বয়স কম ছিল।
-তবে আগের চেয়েও সুন্দর হয়েছ।
-তোমার শেষ চিঠিটি কিন্তু আমার হাতে  পৌঁছায়নি!!
-তিন বাড়ি পরে নতুন বাড়ির তেতলায় উঠেছি।
-পারলে তোমার বরসহ বেড়াতে এসো এক বার।
-আমার বউ এর সাথে আলাপ করিয়ে দিবো।
-প্রায়ই তোমার গল্প করি বউ এর সাথে,
তোমাকে একবার দেখলেই চিনে ফেলবে।”


হঠাৎ মনে হলো এতক্ষণ আসলে কেউই ছিলনা বারান্দায়!!
ছিল কি?
বিশ বছর আগে হয়তো ছিল।
যেমন কাক দু’টো ছিল ।
এখন শুধু তাদের একটি পালক পড়ে আছে মাটিতে!!
কালো পালকটি কোন কাকের শরীর থেকে ঝরেছে ঠিক বুঝা যাচ্ছেনা।


কেউ দেখার আগেই-
আমি হাঁটতে হাঁটতে নতুন তেতলা বাড়ি ফেলে রেখে-
ভুল করে গলির শেষে চলে এসেছি।
———————-
রশিদ হারুন
১৩/০১/২০২০