আমার লেখা কবিতার কিছু প্রিয় কথা । নাম দিলাম "হারুন নামা"
----------
1.
তুমি চাইলে
স্বৈরাচারী প্রেমিক হতে পারি,
শুধু মাত্র তুমি চাইলেই
ভালবাসায় গনতন্ত্র আনতে পারি।


2.
ভাগ্যিস্ আমার অশ্রুগ্রন্হি
হৃদপিন্ডের একেবারে গভীরে
তুমিতো সাতার জানোনা
ডুবে যেতে অভিমানের তোড়ে।।


3.
আমি
যুবক সমূদ্র
ভালবাসার শরীর,
তুমি
যুবতী নদী
স্বপ্নের আবীর ।


4.
“পথ সব সময় ডুবে যায়
পথিক ডুবে মাঝে মাঝে”


5.
‘’আমার হৃদয়কে স্বপ্ন যখনই ধার নেয়
তখনই আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ’’


6.
আমি -
কষ্ট করে নষ্ট হব
নষ্ট হয়ে কষ্ট পাব।


7.
“আমাকে কিছু রং ধার দিবে
সাদাকালো ইচ্ছেগুলো রং করবো”।।


8.
সব রক্তের রং লাল নয়,
তোমার অভিমানে আমি যখন রক্তাত হই
তার রং সমুদ্রের নোণা জলের মত,


9.
প্রতিনিয়ত স্বপ্ন আমাকে জন্ম দিচ্ছে আর বাতাসে উড়িয়ে দিচ্ছে
হে ইশ্বর, আমি একবার শুধু মানুষ হওয়ার স্বপ্ন চাই।।


10
প্রচণ্ড তৃষ্ণায় আমার সুখ গোপনে কাঁদে
চোঁখের জলে কি আর তৃষ্ণা মিটে


11.
অজর ধারার বৃষ্টির জলে
ভিজা হলো না আর আমার
চোখের জলেই ভিজে পাইনা অবসর
বন্ধু তোর অবস্হা কি?


12.
অপেক্ষা আমাকে
প্রতারনা করতে শিখায়
অপেক্ষা আমাকে
ভুল আয়নার মুখোমুখি করে দেয়
অপেক্ষা আমার
বয়স বাড়িয়ে দেয় ।।


13.
তোমার সাথে দিন চলে যাবে,
সময় কাটবেনা।
তোমার সাথে আমার.
কখনো আঁয়না দেখা হবেনা।


14.
চিঠির ছাই গুলো থাক আমার বুকে
তোমার বুকে থাকুক আমার অভিমান ।


15.
যখন মানুষের কষ্ট,
আর বৃষ্টির কান্না
এক হয়ে যায় ,
তখনই মানুষ খুন হয়ে যায় ।


16.
"মনোলীনা"
আমি বিশুদ্ধ কষ্ট
বুকে নিয়ে অপেক্ষায় আছি ,
তুমি একদিন আমাকে ডেকে বলবে
আজ তুমি কষ্টে আছো ।।


17.
তোমার বুকে কষ্ট নেই,
আমার সাথে তাই তোমার
কখনো দেখা হবেনা,
যার বুকে কষ্ট নেই
সে কখনো বিরহে খুন হবেনা,
যার বিরহ নেই
সে মানুষ ভুলে যায় ।


18.
পূর্ণিমার চাঁদকে ভালবাসতে নেই
পূর্ণিমার চাঁদ শুধু বিরহ চিনে
পূর্ণিমার চাঁদ ভুল মানুষের কাছে নিয়ে যায়
পূর্নিমার চাঁদ সুখি মনকেও নিঃসংঙ্গ করে।


19.
আরেকটা জীবন যদি পেতাম
আমি নির্ঘাত কবি হতাম
আমার অন্য কিছুতেই
এখন আর মন ভরে না।


20.
এক দিন ভুল করে তোমাকে লেখা চিঠি হারিয়েছি
তারপর থেকে সকল পোষ্ট অফিস বন্ধ হয়ে গেছে


21.
তুমি আমাকে শুধু একবার
শর্তহীন একটা চুম্বন দাও,
আমি তোমাকে একটা শর্তহীন জীবন দিব


22.
বুকের ভিতর সবই আজ শূন্যের দখলে
শূন্য আমায় কাদাচ্ছে সকালে বিকালে
চারিদিকে ফাঁদ পেতেছে শূন্যেরই সব মায়া
বিশ্বাস হারালে পরে থাকে শূন্যেরই ছায়া।


23.
আমি স্বপ্নে আজকাল রাজকুমার হয়ে যাই.
রাজকুমার ডাকলে,
“বালিকা তোমার ফিরিয়ে দেবার ক্ষমতা নেই”


24.
যখন বুকের দরজায় কড়া নাড়ার কেউ থাকেনা,
বোকা দীর্ঘশ্বাসগুলো অদ্ভুত ভাবে হেসে বলে-
"ভেতরে কেউ কি আছো?"


25.
অস্থিরতাই একজন কবির গৃহজীবন
তাই আমি মৃত্যূর কাছে দাড়িয়ে ও অস্থির।


26.
আমি জানি ,একদিন, আমার ঘুম আমাকে প্রচন্ড ভালবেসে
আমাকে আর ফিরে আসার শেষ গাড়িটাতে উঠতে দিবে না


27.
আয়নাটা বদলাতে ইচ্ছে করেনা,
আমার মত আয়নার ও বয়স বাড়ছে
বয়স বাড়লেই সব বদলাতে হয়না


28.
আমাকে কেউ একজন একটা চিঠি দাওনা,
চিঠিতে হাতের লেখায় থাকবে কাটাকুটি ,
সাথে থাকবে একজন মানুষের দীর্ঘশ্বাস
আর পাওয়া না পাওয়ার হিসাব নিকাশ


29.
একবার এসে দেখো যাও ,
সময়ের দুয়ারে মৃত্যূ আজ হাসাহাসি করে,
নি:সঙ্গ মানুষের মরন থাকে অভিমানের অসুখে,
অভিমান আর হাহাকার ডুবছে
আমার বুকের হাওরের জলে।
মনোলীনা,
এই ক্ষুদ্র বুকে এত জল আর ধরেনা।


30.
আমি ভালো নেই,
আমি ভালো নেই অভিমান আর অহং এর
সত্য মিথ্যা খেলায়,
আমি ভালো নেই বুকের মাঝে ক্ষ্যাপা ষাড়ের মত
শূন্য এর দাবড়ানীতে,
আমি ভালো নেই সুতো কাটা উরন্ত ভুল ঘুড়ির
পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে,
আমি ভালো নেই, আমি ভালো নেই


31.
অভিমানী মানুষ কখনো ভালো থাকেনা,
অভিমানী মানুষ কবি হয়ে যায়।


32.
‘মনোলীনা’রা
নিজের অজান্তে
একদিন ঠিকই খুন হয়ে যায়,
অভিমানী যুবকের অভিমানের ধারালো অস্ত্রে”


33.
মৃত মানুষ কখনো ফিরে আসেনা,
মৃত মানুষ কখনো মন খারাপ করেনা,
মৃত মানুষ শুধু আপনজনদের বুকে
জীবন ভর হাহাকার হয়ে থাকে।


34.
অভিমানে বুক হাতরাই ,
কষ্টে বুক হাতরাই
অপমানে বুক হাতরাই
বিরহে বুক হাতরাই
ঘুমের মাঝেও বুক হাতরাই
তারপর একসময় পেয়ে যাই কবিতা।


35.
তুমি যখনই আমাকে বলবে “ভালোবাসি”
আমি পৃথিবীর সবাইকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিব মূহুর্তেই।


36.
অভিমান মানুষকে বিরহী করে,
অভিমান মানুষকে কাঁদতে শিখায়,
অভিমান মানুষকে পরিশুদ্ধ করে,
অভিমানী মানুষ এক সময় বিপ্লবী হয়ে যায়।


37.
যদি একটা সাদা বকের জীবন পেতাম
শুধু উড়তাম আর উড়তাম।


38.
বুক পকেটের সব
তপ্ত ভালোবাসারা
একদিন শীতল হতে
মানিব্যাগ এর জলে
ঠিকই সাতার কাটে।


39.
আমি একদিন ঠিকই
মায়াহীন এই শহরে
মায়া রেখে যাব
কোন এক মনোলীনার জন্য।


40.
যে কবির বুকে মায়া থাকে না
সেই কবি নিজের অজান্তে মরে যায়


41.
যে আমাকে অভিমানী করেছে,
আমি অভিশাপ দেই
সে যেন আজীবন স্পর্শহীন থেকে যায়।


41.
কবেকার না দেখা এক অদ্ভুত প্রেম
রং সাইডে এসে তীব্র গতিতে
আমাকে আহত করেছে, রক্তাক্ত করেছে,
এতো বৃষ্টি ঝরে, তবুও রক্ত ধুয়ে দেয়না


42,
সাবধানে থাকিস বন্ধু,
বেশি হাটিস না বন্ধু ছাড়া
না হলে এই মানুষের ভিড়ে একদিন
লেপ্টে যাবি পোষ্টারের মত ছায়াহীন হয়ে।


43.
"সুখ তুমি তন্দ্রাবতী নারীর মত
তোমাকে ছুতে গেলেই
তোমার ঘুম ভেংগে যায়",


44
প্রতিটি জন্মদিন আমাকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে যায়,


45.
আষাঢ়ের নির্লজ্জ বৃষ্টিতে
আমার যৌবনের মাঝে ধাঁধা লেগে যায়।


46.
নিশ্বাস ফেলোনা এই শহরে
বাতাসে ভেসে ভেসে আসা
তোমার শরীরের ঘ্রাণ
আমাকে আবারো বিরহী করে তুলবে


47.
বালক মন উড়তে উড়তে কোথায় গিয়ে পরে
বালক বয়স কখনোই জানেনা,
আর কখনি যদি জেনে যায়
সেই সময়েই বালকটি কিশোর হয়ে যায়,
আর বুঝে যায় একটি প্রাচীন
অথচ একেবারে নতুন আবিষ্কার,
" বালক, বালিকাটির প্রেমে পরেছিলো"।


49.
এ কেমন শহর?
তোমার শরীর এর গন্ধ এর জন্য
আমাকে বৃষ্টির কাছে হাত পাততে হয়।


50.
গল্পের হিমুদের জন্য রুপারা সবসময় অপেক্ষা করে,
বাস্তবের রুপারা অপেক্ষা করে মাঝেমাঝে।
তাই যুবক একদিন ঠিকই বুঝে যায়
নাম বদলালেই হিমু হওয়া যায় না
হিমু হয়ে জন্মাতে হয়।


51.
আহারে মানুষ,
বুকের নদী সম্পূর্ণ মরার আগে
একবার যেন মানুষ হতে পারি,
আহারে, একবার যেন মানুষ হতে পারি।


55,
প্রতিনিয়ত বিশ্বাস মরছে,
ভালোবাসা মরছে,
ভরসা মরছে,
মরছে মানুষের ভিতরের মানুষ,
কেনো মরছে, কেউ জানতে চায়না,
সবাই চোখ খোলা রেখে
বুক বন্ধ করে আছে,
তুইও থাক
শাহেদ তুইতো বেঁচে আছিস,
এতেই খুশি থাক।


56.
নারী, তুমিও তো পুরুষ মানুষের বুকের দরজায়
একবার কড়া নেড়ে বলতে পারো
“ভালোবাসি”
না হলে তোমার যৌবনের ও পাপ হয়ে যাবে একদিন


57.
আমি একটি শর্তহীন মৃত্যুর দাবীতে
আজও বেঁচে আছি,
অথবা আপনি এভাবেও ভাবতে পারেন,
আমি একটি শর্তহীন জীবনের এর দাবীতে
সকাল বিকাল একবার করে মরে যাই।


58.
আমিতো ভালোই ছিলাম
চোখের মাঝে চোখ ছিলো
বুকের মাঝে বুক,
তোমায় কেনো দেখতে গেলাম ?
হারালো সব সুখ ।


59.
“কবিদের মৃত্যু হয়না
কবরের জন্য মাটি দরকার হয়না,
কবির কবর হবে
প্রতিটি কবির বুকের জমিনে”


60.
“ও চড়ুই তুই উড়ে যা”
তুইতো জানিস না
আমার বুকের আকাশে
আমারই সকল হাহাকার নিয়ে
একটি পাখি উড়ে চলছে সব সময়।


61.
“আহারে, মানুষ কেনো চলে যায়”।


62.
আমার সব হারিয়ে যায়
শুধু আমার ভয়গুলো হারায় না।


63,
তোমার বুকের টাটকা রোঁদ
তুমিই রেখে দাও,
আমার কবিতা গুলো ভিঁজেই থাক
আজ আমার কাঁন্নার জলে
ডুবে মরার শখ হয়েছে ।


64.
আমি যেখানেই থাকি ,
যতই অফলাইনে থাকি না কেনো
কষ্ট আমাকে
জিপিএস দিয়ে ঠিকই খুজেঁ নেয়।
-----------------------------


রশিদ হারুন