গ্রীষ্মকালে মহল্লার রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে ছেলেটি মেয়েটিকে প্রথম দেখল নতুন বাড়ির দোতালার বারান্দায়।
সূর্যের প্রচণ্ড তাপের সাথে সাথে
মেয়েটির একটা চাহনিতেই
ছেলেটির শরীর আর মন আচমকা ঝলসে গেলো।
আশ্চর্য পুরো মহল্লার একজন মানুষও টের পেল না ছেলেটি পুড়ছে শরীর আর মনে!
প্রতি দিনক্ষণ পুড়তে পুড়তে
বর্ষাকাল কখন যে চলে এলো
ছেলেটি টেরও পায়নি।
সেই নতুন বাড়ির উল্টো দিকের মলিন দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছেলেটি প্রথম যেদিন দেখল-
বারান্দায় হাঁটতে হাঁটতে  মোবাইল ফোনে ‌ মেয়েটি অন্য কারো সাথে কথা বলতে বলতে হেসে হেসে গলে পড়ছে,
তখনই ছেলেটি টের পেলো বর্ষাকাল এসেছে!
হঠাৎ ঝুম বৃষ্টিতে পুরো মহল্লার সাথে সাথে তারও শরীর-মন ভিতর বাহিরে ভিজতে থাকল দিন রাত,
তবুও মহল্লার কেউ টের পেলনা একটি ছেলে ভিজছে শরীর আর মনে।
প্রতিদিন সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভিজতে ভিজতে
একদিন ছেলেটি দেখল
-মেয়েটি আজ বারান্দায় আসেনি,
এমনকি বারান্দার দরজা জানালাও খোলেনি সারাদিন একটি বারের জন্য!
বুককাঁপানো ঠাণ্ডার এক শীতল ভয়ে তার শরীর মন কেঁপে উঠল।
এক হাহাকার চোখে তাকিয়ে দেখল,
পুরো বাতাসে কুয়াশা ভাসছে।
সেদিনও মহল্লার কেউ জানলনা
শুধু ছেলেটি টের পেল
বুককাঁপানো এক শীতকাল চলে এসেছে।
ঈশ্বর যদি ছেলেটিকে আবার নতুন করে জীবন বেছে নিতে বলেন,
আমি বাজি ধরে বলতে পারি
বুকে হাহাকারের এক মরণ নেশায়
ছেলেটি আবারো স্বেচ্ছায় সেই মেয়েটির চাহনিতেই পুড়তে চাইবে।
প্রয়োজনে আগামী গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত
সেই নতুন বাড়ির উল্টোদিকের দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে।
মহল্লাবাসী,
আপনাদের এসব কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই।
এভাবেও যে ঋতু পরিবর্তন হতে পারে আবহাওয়া বিষয়ক কোনো বইয়ে কিন্তু লেখা নেই,
এসব অর্থহীন কথা শুধু কবিরাই লিখতে পারে।
—————————
র শি দ  হা রু ন
১১/১১/২০২১