একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখি,
আমার ছায়াটি ব্যাগ গুছাচ্ছে,
চলে যাবে আমাকে ছেড়ে,
এই সংসার ছেড়ে,
থাকবে না এই পরাধীন শরীরে  
আর অভিনয়ের সংসারে।


আজ তাকে নেওয়ার জন্য দরজার ও পাশে
বসে আছে আরেকটি অচেনা ছায়া।


আমি চিৎকার করে কাঁদলাম কিছুক্ষন,
বিরহে কাঁদলাম , অভিমানে কাঁদলাম,
একাকীত্বের তীব্র ভয়েও কাঁদলাম,।


তারপর, তারপর বহু কষ্টে,
তার হাতে পায়ে ধরে রাজী করালাম
আর কিছুদিন থেকে যেতে,
আরেকটু চেষ্টা করতে মানিয়ে নেওয়ার,
তাকে খুব করে বুঝালাম,
আমি কি ভাবে একা হয়ে যাবো।


বললাম,
“ছায়াহীন মানুষ নিঃসঙ্গ ল্যাম্পপোষ্টের মতো,
সবাই ক্লান্ত হয়ে হেলান দিয়ে দাড়ায়,
ছায়াহীন মানুষের শরীরেও সব ক্লান্ত ও বিভ্রান্ত ছায়াও আশ্রয় খুঁজে”।


এবারের মতো ছায়া থেকে গেলো শরীরে,
আমি মনোযোগ দিয়ে,
অন্তর দিয়ে  শুনলাম তার কষ্টের কথা।


তার কষ্টের জখমে আমি হাত বুলালাম পরম মমতায়,
তার আহত শরীরে চুম্বনে চুম্বনে অস্হির করে দিলাম।
তারপর আরেকবার দু’জন  দু’জনের পায়ে শিকল পরালাম।


একদিন কোন এক ‘মন ভুলানো চাঁদের আলোতে’
ছায়াটি অস্হির হয়ে গেলো মুক্তির জন্য,
আমিও  পারছিলাম না আর পায়ের শিকল টানতে।
দু’জন দু’জনকে দোষারোপ করতে করতে
জানালার লোহার বেষ্টনীতে হাত রেখে
মন খারাপ করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
তখন  হঠাৎ একটি জোনাকি পোকা ঘরে ডুকে পড়লো।


তারপর থেকে,
সব অভিমান আর অভিযোগ ভুলে
জোনাকি পোকাটির দিকে তাকিয়ে আছি দু’জনে আজীবন।
——————
রশিদ হারুন
২৮/০৬/২০১৯