মধ্য রাতে একা বিছানায় কালো অন্ধকারে যখন ঘুম ভেঙে যায়
ভয় পাই,
আমি প্রচণ্ড ভয় পাই।


পুরো শরীরের উপর চাদর টেনে
আরো অন্ধকারে ঢুকে পড়ি।
একাকীত্বের ভয়ে কোঁকড়াতে কোঁকড়াতে
চাদরের নিচে মরার মতো চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকি।
একসময় টের পাই
দিনের আলোও চাদরের উপরে
আমার জন্য বিষাদ নিয়ে অপেক্ষায় বসে আছে।


সকালে ঘুম ভাঙে
বারান্দায় আশ্রয় নেওয়া চড়ুইয়ের কিচিরমিচির শব্দে,
আমি বিছানায় আলসেমি করি
বিষণ্ণতা আর শোকের কোলবালিশ বুকে জড়িয়ে ধরে।
পুরো ঘর জুড়ে শুধু একজন নারীর শরীরের গন্ধ খেলা করে।


এক কাপ স্বাদহীন তিতকুটে চায়ে ঠোঁট ভিজাই,
ফুসফুসটা দিনের প্রথম সিগারেটের নিকোটিনে ইচ্ছেমতো পুড়ি।


ঘুমহীন শরীর নিয়ে আয়নার সামনে এসে দাঁড়াই,
আয়নার শরীর বেয়ে কিছু অর্থহীন শব্দ আমার নগ্ন বুকে ঢুকে পড়ে।
শব্দগুলো এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে কাতরাতে থাকে এই পোড়া বুক।


মুখের চামড়া কুঁচকাতে থাকে বিষাদের যন্ত্রনায়,
চোখ থেকে জল গড়িয়ে গড়িয়ে শীতল হতে থাকে পোড়া বুকে।
বুক থেকে অর্থহীন শব্দগুলো বিছানায় ঢেলে
সুইসুতোর ফোঁড়ে সেলাই করে একটি কবিতার শরীর বানাই।
নাম দে‌ই সেই কবিতার-
“কষ্ট”।


আমার ভয় করে
প্রচণ্ড রকমের ভয় করে-
এই একাকীত্ব,
এই যে একজন নারীর শরীরের গন্ধ,
সকালের স্বাদহীন তিতকুটে এককাপ চা,
দিনের প্রথম সিগারেটটি
আর বুকের অর্থহীন কিছু শব্দ,
না জানি,একদিন আমাকে
সত্যি সত্যি এই শহরের কবি বানিয়ে ছাড়ে।
————————————————
র শি দ  হা রু ন
০৮/০২/২০২০