সারাজীবনের জমানো টুকরো টুকরো সুখগুলো
অবসর সময়ে বুক থেকে বের করে একটু ঘসামাজা করতে গেলেই
একটা দুইটা সুখ প্রায়ই চুরি হয়ে যায়।


ছোট্ট বেলার জ্যামিতি বক্স থেকে স্কেলটা হারালো একদিন,
নীল ঘুড়িটা কে যেনো ছিড়ে ফেললো,
সবুজ চোখ তোলা মার্বেলটা খুঁজেই পাচ্ছি না কয়েকদিন হলো,
শত সেলাই দেওয়া যত্ন করে রাখা বালকবেলার চামড়ার ফুটবলটার বাতাস কে যেনো বের করে দিয়েছে!
একটা রঙধনু রঙের প্রজাপতি সব সময়ই বুকে উড়তো
কে যেনো প্রজাপতির ডানায় বিষ মেখে দিয়েছে,
উড়তে না পেরে প্রজাপতিটা এখন চুপচাপ বসে থাকে বুকে পাথরের মতো ওজন নিয়ে।


জীবনে পাওয়া প্রথম প্রেমের চিঠিতে কে যেনো চোখের জল ঢেলে দিয়েছে,
চিঠির লেখাগুলো এখন আর পড়া যায়না।
গাছের ‘ছায়া পড়া’ পুকুরের শীতল জল জমানো ছিলো এক কাঁচের বোতলে
শুধু বুকের দু’পার ধোয়ার জন্য,
বোতলটা আছে
জলটুকু কে যেনো বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছে!


প্রিয় হলুদ রঙের শার্টে বুক বরাবর কে যেন লাল রঙ ঢেলে দিয়েছে,
দাদীর লাগানো বড়ই গাছটার ডালপালা কে যেনো প্রায়ই ভেঙে নিয়ে যায়,
প্রথম পাওয়া চুম্বনটা সুযোগ পেলেই কে যেনো প্রায়ই দু’পায়ে মাড়িয়ে যায় ।


একদিন জমানো বাকী সুখগুলো বুক থেকে বের করে বারান্দায় রোদে শুকাতে দিয়ে
আচমকা ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখলাম,
চোখের নিমেষে আমার সুখগুলো চুরি করার জন্য মানুষগুলো নিরবে দাঁড়িয়ে।
মানুষগুলো সব পরিচিত!
মানুষগুলো সব কাছের!
মানুষগুলো সব আপন!
——————
র শি দ  হা রু ন
৩০/০৩/২০২৩