বৈধ স্পর্শ!
'টাকার বিনিময়ে ঠোঁট ছুঁয়ানো' আর কি।
হাজার মানুষের স্পর্শ তোমার শরীর জুড়ে,
এই তো কিছুক্ষণ আগেও কোন এক জন-
তোমার শরীরের উষ্ণতাকে পরম আনন্দে উপভোগ করে গেছে।
উষ্ণ জলের ছিটায় এখনো অস্পষ্ট দাগ রয়ে গেছে।
কে বলতে পারে? সে কোন অবৈধ বিছানা থেকে উঠে আসেনি!
প্রতিদিন ছুয়ে দেয়, চলে কয়েক মিনিটের চুম্বন।
কত শত মানুষের ঠোঁটের স্পর্শ লেগে তোমার শরীরে,
ডোম, মুচি, ম্যাথর থেকে শুরু করে পানখোর, বিড়িখোর-
এমনকি নেশায় মত্ত উম্মাদ মাতালও তোমাকে ছুয়ে যায়।
ঠোঁট আর জিহ্বার দ্বারা স্বাদ নেয়,
মাদকতা ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীর জুড়ে ।
ঘৃণায় কি কখনো তোমার শরীর ঘিনঘিন করে উঠে না!
যেমনটি সভ্যরা গরীব দেখলে করে,
গরীব তো মানুষ না; ওরা ছোট্ট লোক।


প্রতি বারের স্পর্শই তোমাকে পরিষ্কার করে,
ডলে-ঘষে আরো চকচকে করে তোলে।
তুমি কি বলতে পারো? কার স্পর্শ অবৈধ ছিল!
কেনই বা এতো স্পর্শে জার্রাজার্রা তোমার শরীর!
প্রতিবাদহীন বৈধ স্পর্শ!
রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির শেষে,  আনাচে-কানাচে
সর্বত্র আড্ডায় কিংবা গল্পের ফাঁকে ফাঁকে ;
সাদা, কালো, শুষ্ক কিংবা আঁঠালো নরম ঠোঁটের স্পর্শ।
কেউ স্বাচ্ছন্দ্যে কেউ অবহেলায় ছুয়ে যায়,
কেউ বা ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলে ডাস্টবিনে।
কত পাপি, কত সাধু অমৃত সুধার মত পান করে চিনি আর ক্যাফেইনের উপাদেয়।
রোজকার মতোই আমিও তোমাকে ধরে আছি।
আজকের অনুভূতিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন;
মানুষকে নিয়ে ভাবতে যাওয়াটা বড় কঠিনই বটে।
বুকের কোণে কোথাও একটা ব্যাথা আর ঘৃণার সংমিশ্রণ অনুভব করছি।
তুমি কি জানো ঘৃণাটা কার উপর?


৮ ই আগস্ট ২০২০।
রাত- ১১ঃ২৭ মিনিট।