যা তোমার কোনো দিন ছিলো না,
তা হারানোর ভয়ে তুমি কেনো কাঁদো!
যে রাতের তারকাদের মাঝে
তুমি রাত জাগো,
সে রাতের চাঁদের কলঙ্কময় আলোতে,
তোমার ছায়া
কোনোদিন পড়তো না।
যে চোখের পলক তুমি ভেজাও নোনা জলে,
তাতে রাখা স্বপ্ন তো
আগেই ভিজে গেছে।
যে কবিতার পাশে,
বেহালার সুর বাজে,
সে তো শুরু থেকেই বিরহের।
আনন্দধ্বনি পাওয়ার আশা কেনো রাখো?
যে মনের ঘরে তুমি আশ্রয় খোঁজো,
সেখানে তো
একটি মাত্র ঘর,
বোঝাই আছে পুরোনো ফসলে।
যে নদীর কোনো কূল নেই,
তরঙ্গ অস্থির,
তার বুকে নৌকো চালাও।
নোঙর কেনো খোঁজো?
যে পাথর আজ শিলালিপি,
তাতে লেখা তোমার নাম.,
সে তো হিজিবিজি।
মাথা খুটলে  তাতে,
শিলা অক্ষত থাকে,
শুধু, দাগ পড়ে মাথাতে।
এমন কঠিন সময়ে,
অনুভূতির চরম সীমানায় পৌঁছে,
মৃত্যুর স্বাদ এসে
চুমু দেয় ঠোঁটে।
কটূ গন্ধে ফুলে ওঠে উদর,
নাক চেপে ধরি, মৃত আমি।
যেন আমার ই বুকের ভেতর,
আমার শবদেহ পোড়ে।