ক্রমে দৃশ্যমান হয় কুঁড়ে ঘরগুলি
এখানে একদিন লণ্ঠনের আলো জ্বেলে
বসে থাকত মা,
এখানে চাঁদও অভাগিনী
রাত্রি গভীর হলে খিড়কী পুকুরে নেমে এসে
তুলে নিয়ে যেত শুশনিপাতা,
তখনও রাত্রি জাগরণে শূন্য হাঁড়ি নিয়ে
চেয়ে থাকত মা এক যুগ
কোলে বুভুক্ষু ঘুমন্ত খোকা, চক্ষু কোটরে মৃত্যুর হাতছানি –
এখানে মৃত্যুরাও বড় রুগ্ন !
নিশি পাহারায় স্বামী দূরগামী
রাতজাগা পাখির বিরহী কাঁদন
তবু স্বপ্নের ঘোরে স্রোতস্বিনী মা….


উঠোনের সামনে ভাঙা বেড়া
তাতে দুয়েকটা ছেঁড়া কাপড়ঃ
না-পাওয়ার চুপ কাহিনীর দুঃখের নকশীকাঁথা-
অতীত বিস্মৃত শহুরে চোখে মনে হতে পারে প্রাগৈতিহাসিক,
তবু এখানে ছিল এক অভাব –দীর্ণ মানববেলার সভ্যতা-
আর নারী আমার মা!