ওহে নকশি কাঁথার সাথী
নয়নের আলো,আত্মার শান্তি
আমি ধন্য,ধন্য তোমারে পেয়ে।
কতো ত্যাগ,কতো অপেক্ষা
নির্ঘুম রাতের মধু কল্পনায়
সুখের মাখা মাখি।
ওহে মোর গতরের কস্তুরি
সুগন্ধ ছরাও নিশিত প্রহর
জড়িয়ে মম বক্ষ পাটি।
কি স্বাদ আর কতো আহ্লাদ
ওই দুই চোখে,পারিনি কভুও
তৃন তুল্য আবদার মিটাতে।
তবুও আছ,থেকে গেছো
আমার অস্তিত্বের শিকড় ধরে
শূন্য বিশ্বাসে ভর করে।
কি দিয়া তোমার শুকুর গুজারিব
উপহারে দিয়ে পুষ্প মাল্য,
নাকি হৃদয়ের লাহু দিয়া লিখিব ওই নাম।
তুবও পাল্লা হয় না ভারি
তোমার আমাতে যত উদার অবদান
অবচেতন ও যদি হই,তবু পিরা দেয়।
পিরা দেই ওই মলিন মুখ খানি
যে মুখে হাসি ফোটানের শপথ
নিয়ে ছিলাম কোন একদিন।
ক্ষনে ক্ষনে সময় চলে যায়
চলে যায় কতো অর্থ বির্ষজনে
হাসি ফোঁটেতে,হয়তো আমি ব্যার্থ।
ক্ষমা করো হে প্রিয়তমা আমার
আত্মার আমৃত্যু কালেমার দাসীনি
আমি আসবো ফিরে ঠিক একদিন
হাতে নিয়ে সুখের বাক্স খানি।
সে দিন হেসো বুক ভোরে
রেখে মাথা মোর বুকে
সেই দিন হয়তো সফল হবো
সুখ বিলিয়ে তোমাতে।
বড় ভালবাসি প্রিয় কহিতে না পারি
লিখনে মম মধু রস ঝরে
বচনে বেপরোয়া,খুব আনারি।
বর্নে,শব্দে ভালবাসা খুঁজে নেও
মুখের ভাষা ত্যাগিয়া
মনের ভালবাসা উপচে পরে
কলমের শিশের কালি বহিয়া।
ভালবাসি তোমায় ওগো অন্তরজামি
পরিমাপ চেও না এই ভালবাসার
বোঝাতে ব্যার্থ আমি।
মোর ভালবাসাকে বৃত্ত মানিও
ঘুরি তোমার চক্রের চার পাশে
সময়ে অসময়ে সব সুখ জুড়ে
যেমন পৃথিবী বাঁচে সূর্যকে ঘিরে।
সব ক্লান্তি কতো নিঃশপ্রান দিন হয় পুঁজি
তবুও দিন শেষে তোমার আঁচলেই
এক আশমানি শান্তি খুঁজি।
এই ভালবাসা কেহ দেবে কি?
কোথায় হারালে কি পাব এই সুখ
হারাতে ভয় হয় বড্ড বেশি
আঁকড়ে বাঁচতে চায় তমাতে
দিবানিশি দেখে ওই রূপালী চাঁদ মুখ।
তোমাকই বলছি,বড্ড ভালবাসি
হে হৃদয়ের কারাবন্দীনি
ভালবাসি তোমায় মনে রেখ হে পূর্ণাঙ্গীনি।