অনুভূতি :--
মোর পাঠশালা, হারাগাছ ইসলামিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কে কেন্দ্র করিয়া কিছু স্মৃতি।
সকালে উঠিয়া মুখ-খানা ধুইয়া, তিনখানা বই বুকের ভিতরে লুকিয়া দৈনদিন গিয়েছিলাম এই পাঠশালার দুয়ারে।
এই তো সেদিনের কথা আমরা সকল পাঠশালার বন্ধুগন মিলিয়া করতাম কত খেলা।
সকলে মোরে খুব ভাল বাসিয়াছিল। তবে স্যারের কাছে মোর নালিশের বোঝা ছিল খুব ভারি।
মহাদয় গুরুরা ডাকিয়া কয়, মোরে। কি করেছিস তুই ওমুকের সাথে?
ভয়ে কাপে না মোর বুক! তখন হাসিয়া কই আমি, স্যার ওমুকে মারিছি। ওমুকজন করেছে’যে ঔই।
ওজন্যেই তো মারিছি ওরে, তা বলিছে এসে আপনারে?
মোর কথার শেষ পরকক্ষনে, স্যার মহাদয় কইতে শুরু করে। শুন তুই মোদের সকলের প্রিয়, করিস না এমন কিছু তার জন্য সকল মহাদয়ের হাত পরুক তোর দেহখানে।
একথা শুনার পরকক্ষনে মনটা ভোরে যায় মোর সুখের আবেশে, মহাদয় এ কি কথা বলিলো! সকল মহাদয় মোরে ভালবাসে এমনটি করে! জানাছিলো না মোর তা আগে, জানিলাম আজ এই শুভ ক্ষনে।
কোন একদিন মুই পাঠশালায় না আসিলে, সেই দিনটা যায় না মোর ভাল ভাবে।
তয়, মহাদয়’রা, পরে মোরে কয় আসিস নাই কেনেরে কাল পাঠশালাতে। তোর চন’চল মুখোরিত সময় ভরিয়ে তুলে এই পাঠশালাকে।
মহাদয় আরও কয়, করিস না এমন, তুই পাঠশালয় না আসিলে যায় না মন কারওই ভাল।
আরও কত কথা রয়েছে মোর অন্তরে গাঁথা এই পাঠশালাকে ঘিরিয়া, বলিবো অন্য এক সনে যদি বাঁচিয়া থাকি
এই ভূবনে।
দুচখ’নামক, এই ক্যামেরায় তুলিয়াছি কতছবি ওই মেয়েটির, এসব স্মৃতি রয়েছে মোর ওই পাঠশালার ভিতরে...


এসব স্মৃতি যায় না কখনও ভোলা, তাই ভুলিনি আমিও এখনও।
রাস্তার দারে হাটার সময়, আজ মনে পড়লো সেই স্মৃতি গুলো, তাই তুলে ধরলাম মনের অকপকেটের কিছু কথা, আমার এই পাঠশালাকে কেন্দ্র করে।