একটি মাত্র কবিতা তোলা ছিল তোমার জন্য,
জীবনের কোন চোরাগলি দিয়ে যেন হারিয়ে গেল,
সেই শব্দ, ছন্দগুলোর আর্তনাদ আজো কানে ভেসে বেড়ায়,
আগলে রাখা ছিল সযত্নে, কেমন করে যেন উবে গেল,
তোমার স্মৃতিগুলো দিন দিন ঝাপসা হয়ে বিলীনের পথে,
অসতর্ক, বেখেয়ালি আমি তোমায় যেন খুইয়ে ফেলেছি।
সেই শেষ বিকেলের বাদল আমায় দেখা দিল হঠাৎ,
কালবোশেখীর পাগলা হাওয়ার পরে,
কানে কানে বলে গেল তার রুদ্র মূর্তির নেপথ্য,
আমি অবাক বনে গেলাম, সেদিনের সেই স্নিগ্ধ কোমল বাদল,
তালে লয়ে নূপুরের ঝনঝনানি, মুগ্ধ করে রেখেছিল তোমায় আমায়।
আরেকবার যখন গোধূলির পরে ভেসে যাচ্ছিল আপন মনে,
চুপিচুপি বলে গিয়েছিল রঙিন আগামীর বার্তা,
তোমার লজ্জামাখা মুখখানিতে স্পষ্ট দেখা দিচ্ছিল আগামীরা,
মনে পড়ে কত প্রহরের সাক্ষী ছিল ও?
শুধু সুখটাই দেখা হল দুজনায়, মুদ্রার ওপিঠ ও যে থাকে ভুলেই কি গিয়েছিলাম ?
যে শান্ত স্রোতস্বিনী মোদের নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল,
অন্য কোনো বাঁকে সে ই যে আবার উত্তাল, অশান্ত তা দেখা হয় নি একটিবার ও,
দুঃখ সুখের চক্র খেলায় সঙ্গী যদি নাই বা হতে পারি,
বোধহয় তবে মিথ্যে ছিল, ছিল নিছক ছেলে খেলা ই,
বাসলে ভালো স্নিগ্ধ বাদল, ঝোড়ো হাওয়াও বাসবো ভালো,
তোমার অপার মায়ার পরেও ঘনিয়ে আসলে আধার কালো,
বিদায় দিব রোজ দুবেলা গহীন মনের ক্লান্ত ধুলো।