বৃক্ষকোটরে শুরু আমার!
চোখ খুলে দেখি অরণ্য!  অরণ্যেই আমার বাস!
তরু! তরুলতা! তরুরুহের প্রশ্বাস থেকে জীবন ছিনিয়ে নিই আমি!
অরণ্য তার প্রাচীন ভাষায় ডাকে আমায়!
শাখা-প্রশাখা, পাতা, বাকল, কান্ড, শেকড়, ফুল, ফল, বীজ, গুল্ম, কাঁটা, ঘ্রাণ ফিসফিসে কন্ঠে ডাকে আমায়!
অজানা ভয় নিভে গেলে পা বাড়াই...
আলো আঁধারি, পাতার মর্মর শব্দের মত রহস্য পিছুটান ভুলিয়ে দেয়!
গাছের সারি যেন প্রলম্বিত ঋজু বিস্ময়ের করিডোর!
এ অরণ্যে দিক নেই কোনো! পদচিহ্ন ঢেকে দেয় স্থানচ্যুত সময় পাতার স্তর!
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হলে একটা গাছের  কাছে নিজেকে সঁপে দিলেই হলো! রাত কেটে গেলে ফের হাঁটা! যে গাছের কাছে নিজেকে সঁপে ছিলাম, তাকে ক্ষত উপহার দিয়ে যাই, উপহার তাকে নিতেই হয়!
তারপর কোনো দিন ভুল গাছের কাছে নিজেকে সঁপে দিলে যখন তার নখ চামড়ায় বিঁধে যায়,
তার লতার বাঁধন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে!
শুষে নেয় প্রাণ ধিরে ধীরে! যদি কখনো বা বাঁধন ছাড়িয়ে পালিয়ে গেলেও ক্ষত থেকে যায় চামড়ার গভীরে!
ইচ্ছে হয় পালিয়ে যেতে এ মায়াবন থেকে! ছুটতে ছুটতে ইচ্ছের মৃত্যু হলে, ফের গাঁছ খুজি নিজেকে সঁপার জন্য!
সঁপে না দিলে বাঁচার নেশা কেটে যায়, শুরু হয় বিপত্তি! তারচে' বরং সঁপাই ভালো!
গাছই তো জীবন, গাছই তো আশ্রয়! কোনো গাছ হঠাৎ প্রিয় হয়ে ওঠে, তার নখের আঘাতও আরামদায়ক! কখনো দেখা যায় গাছটি ছায়াকর কখনো বা মাংশাসী! অরণ্যে শুরু অরণ্যেই শেষ!