অনেক দূরে কোথাও যাব।
সব প্রিয়-অপ্রিয় মানুষের থেকে দূরে।
কারো সাথে থাকবে না যোগাযোগ,
কোথায় কেমন রয়েছি।
ক্ষতগুলোই বা এখন কেমন!
শুধু মাসকে মাস একটা তিন বাই চার ইঞ্চেক ছবি পাঠাব
কাছের মানুষগুলোকে।
কিছু লেখা থাকবে না, শিরোনামে খুব কাঁচা আমি, হাতের লেখা জঘন্য।
তারপর হঠাৎ কমাস পৌছবে না কোন ছবি প্রিয় ঠিকানাগুলোতে,
শেষ ছবিটা হয়ত পেয়েছিল সমুদ্রের কিছু উত্তাল ঢেউয়ের।
হয়ত তারা বুঝবে খুব অসুস্থ আমি,
হয়ত হয়েছে সলিল সমাধি।
"বারণ করেছিলাম যেতে,
কতবার চেয়েছি যেন ফিরে আসে"
এমন কিছু ভাবতেই পারে তারা,
কোথাও একটা এপিটাফ লিখতে পারে নামে।
তারপর হঠাৎ একদিন একটা পাহাড়ের ছবি আসবে,
খাঁদের ঠিক পাশে একটা জুম ঘরের।
তারপর আবার বছর খানেক বিরতি,
ভাববে হয়ত আসবে হুঠ করে একদিন
সেবারের ধরে নেয়া মৃত্যুর মতোই।
তার অনেক অনেক দিন পরে
মনে হবে, "এবার আর পারল না হয়ত,
ঐ শুকনো জিরজিরে হাড়গুলো কী অত উচ্চতার ধকল সইতে পারে?"
কিন্তু তারপরও আসবে আরেকটা ছবি
ম্যানগ্রোভের হরিণশাবকের চোখ জলজলে সন্ধে নামার আগে।
এরপর আবার চুপ
এবার নৈশব্দে থিতু হয়ে আসবে হৃদয়।
আর থাকবে না আশা কিংবা দুঃখ।
তারপরও আসবে একটা ছবি,
কুয়োর ভেতর থেকে খোলা আকাশের ছবি।
তারপর আসবে ঝাঁকে ঝাঁকে ছবি,
পোস্টম্যানের জুতোর তলা খয়ে যাবে
ঠিকানায় পৌছতে পৌছতে,
একটা চিরকুটে থাকবে লেখা,
"নৈঋত কোণের চিলেকোঠার দেয়ালে টাঙিয়ে রেখো,
কাঠের ফ্রেমে। খবরদার ধুলো কোনদিন আঁচলে মুছো না,
আঙুলে মুছো।"
চাইলে ভাবতেই পারো,
"ইশ কেমন দুটো দেখার চোখ ছিল।"