ছেলে বেলায়  দাদির মুখে "ভূতের গল্প" শুনে।
বড় হয়ে ভূত দেখবো স্বপ্ন পুষি মনে।।
কালের চাপে যুগের বোঝা চাপ লো পিঠের পরে।
ছোট্ট স্বপ্ন বিরাট আশায় বাড়ে ধীরে ধীরে


সেদিন হঠাৎ পরল মনে ভূত দেখার কথা ।
ঘুম নেই চোখে মাঝ রাত,ভীষণ মাথা ব্যথা।।
জানিনা কেনো আচমকা ই নিজেকে হালকা মনে হলো
গভীর গাড় জোরালো ব্যথা নিমেষে থেমে গেলো


ভাব লো মনে ভয় নেই আর, আজ এসেছে মৌকা।
এই সুযোগে সেরে ফেলি জীবন্ত ভূত দেখা।
দেরি না করে টর্চ হাতে বেরিয়ে পরি সোজা
স্তব্ধ রাত, আঁধারে ঢাকা যায় না রাস্তা বোঝা।।
ক্ষণিক বাদেই বুঝতে পেলুম নইকো আমি একা
ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার মতন আরও অনেক বোকা।


অমনি এক মাঝবয়েসি সাধিল মোরে ডেকে।
এই আঁধার রাতে টর্চ হাতে, এলাম কোথা থেকে?
তখন তাঁকে খুলে বলি আমার সেই গল্প
শুনে বাপু আপন মনে হাস লো অল্প অল্প।।
কাছে ডেকে বললে তিনি " যদি ভূত দেখতে চাই"
এদিক ওদিক না ঘুরে আর বাড়ী  যেন যাই।
শুনে আমার হাসি পেলো অমনি আপন মনে
ভাবলাম বুঝি রসিক পথিক মজ লো আমার সনে।


সারা নিশি রাত ঘুরে ভূতের পাইনি কোনো দেখা
ক্লান্ত দেহে ভোর বেলায় ফিরি বারি একা।।
অতৃপ্তের স্বপ্ন পূরণ হলো বাড়ি ফিরে।
দেখি যবে নিজের শব  লুটিয়ে মাটির পরে ।।


"হা-য়রে জীবন হারিয়ে গেলো স্বপ্ন দেখার সাধে
ভূত আমি আজ অদ্ভুত সব ভূতের লাগি কাঁদে"।