বহুকাল ধরে হৃদয় মাঝে পুষে রেখেছি-
একটা মানববেশী দানব !
আজ, আমি একটা নষ্ট মানুষ,
আমি হিংস্র দানব !
আমি রক্তচোষা, পাষণ্ড আর মাতাল ।


আমি মনুষ্যত্ব ভুলে, নিয়েছি অসভ্য দানবের সাজ
আমার সমস্ত শুভ চেতনা, বিবেক বুদ্ধিকে -
ধারালো বিষাক্ত দাঁতের আঁচড়ে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়েছি ।


আমার নষ্ট হৃদয়ে আজ, আজন্মের পশুত্বের ক্ষুধা
কোনও খাদ্যেই আমার অরুচি নেই !
কখনও আমি মাতাল, কখনও আমি চরিত্রহীন -
দাও আমায় মদ, গাঁজা, হেরোইন !
দাও কোন অবলা নারী -
সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পা রাখা কোমল কিশোরী-
তন্বী তনয়া কিংবা স্থূলকায়া রমণী ।


আমার হৃদপিণ্ড গিলে খাচ্ছে, কতগুলো অসভ্য দানব
মানতাবোধ হারিয়ে আজ, আমি এক মস্ত নরপিশাচ,
চোখেতে শুধু আগুন জ্বলে, রক্ত নিয়ে করি খেলা ।


দানব ! দানব ! দানব !
ভদ্র বেশী দানবেরা- কিছুতেই পিছু ছাড়েনা আমার
ওদের লক-লকে জিভ, পেটে আজন্মের ক্ষুধা !


ক্রমাগত ওরা, শুষে নিচ্ছে আমার সবটুকু প্রাণ রস
তবুও ওদের স্বার্থে লালন করে রেখেছি  -
অন্তহীন ক্ষুধাতুর মনের হিংস্র দানবটাকে ।


অভাবের তাড়নায়, দানবের বেসে !
কোমল বিবেকটাকে বিকিয়ে দিয়ে, থাকছি আমি চুপ
আসল দানবদের নাট্যশালায়, জ্বালছি আমি ধুপ।