একা, আমি বড্ড একা !
মাতৃগর্ভে এসেছি একা,
বেঁচে আছি, জীবনের মায়ায় আবার
সব মায়া ত্যাগ করে, চলে যাবো একা ।
সঙ্গে যাবে শুধু, কিছু নিঃসঙ্গতা আর
কিছু সাধনার ফসল, যা আমার সঞ্চিত ।


এই বিশ্ব জগতে, আমরা সবাই একা
জ্যোৎস্না রাতের বিশাল আকাশে ঝুলন্ত -
এক ফালি পঞ্চমীর চাঁদ, সেই চাঁদটিও একা ।
মালির যত্নে ফোটানো ফুলটিও গন্ধ বিলিয়ে –
নিদৃষ্ট সময় পর, একা হয়ে ঝরে পরে ।


ব্যস্ত দিনের শেষে, নিজের ত্যাজ হারিয়ে সূর্যও একা হয়
ক্লান্ত বিকেলে'র ছলনায় ।
উত্তাল সমুদ্রের গর্জন শেষে, আ'চরে পড়া নিথর ঢেউটিও একা
বসন্তের ডালে ডালে গান গাওয়া -
কোকিলটিও কিছু সময় পর নিঃসঙ্গ একা,
চোখের জল ! নিদৃষ্ট সময় পর সেও একা হয়ে যায় ।


এই ঘর, এই সংসার সবই মিছে মায়া !
বেঁচে থাকার তাগিদে, একটা চুক্তি মাত্র,
জীবনের ধাপে ধাপে চুক্তি !
বাবা – মা, ভাই – বোন, স্বামী – স্ত্রী, সন্তান......
প্রতিটি, সম্পর্কের মাঝে থাকে, ভালবাসার চুক্তি,
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই, চুক্তি আর চুক্তি ।


কর্মব্যস্ত, দিনশেষে যখন আঁধার নামে
ব্যস্ততার ঘড়িটা যখন থমকে দাঁড়ায়,
নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকে শুধু, নির্জনতা- নিঃসঙ্গতা।
কতশত স্বপ্ন জমে, কল্পনার বালুচরে,
ক্লান্ত হৃদয়ে, আবারো এগিয়ে চলি একাকীত্বের তরী বেয়ে ।


চলার পথে, প্রতিটি অচেনা মুখ
আমায় মনে করিয়ে দেয় –
আমার একাকীত্ব, আমার নিঃসঙ্গতা ।


রচনাকাল : অক্টোবর ২০২০ ইং
স্থান : নেত্রকোনা ।