হে ! বন্ধু ......
তোমার আমার মাঝে আজ, কেন এতো দ্বন্দ্ব ?
কেন বিভেদ, কেন এতো ব্যবধান ?
কারন হয়তো, বন্ধু আমি হিন্দু - তুমি বন্ধু মুসলমান,
ছিলাম বন্ধু আমরা এক আত্মা, অভিন্ন এক প্রাণ ।

আধারময় আকাশ, ছিন্ন করে যখনি সূর্য উঠে জেগে
তুমি আমি বন্ধু তেমনি করেই উঠি জেগে,
কেউবা আগে আবার কেউবা ক্ষণিক পরে ।
তুমি যাও মসজিদে, আমি মন্দিরে....
ব্যবধান নেইতো দুই-এ
দুই-তো বর্ণমালার শ্রেষ্ঠ অক্ষর- "ম" দিয়ে হয় শুরু ।


হে ! হিংস্র নরপশুর দল..
মূর্তি ভাঙা, মন্দির পোড়ানো, ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো
গীতা, কোরান, ত্রিপিটক অথবা বাইবেল
কোন ধর্মগ্রন্থে লিখা পাবি বল ?


ওহে নরাধম ! বল-রে আজ তোরা...
স্ব-ধর্মগ্রন্থ বুকে ধরে, চুমি-
মানুষে মানুষে বিভেদ কোন ধর্মে আছে লিখা?
ধর্মের গোঁড়ামিতে বিধর্মীকে রক্তাক্ত করা,
বানিয়েছিস তোরা, এ কোন হিংস্র ধর্মের প্রথা?


চল বন্ধু আজ !
সবাই মিলে নজরুলের সাম্যে’র গান গেয়ে
মানবতাকে খুঁজি দ্বারে দ্বারে..


প্রতিজ্ঞা করি আজ !
অবাক দৃষ্টিতে আর দেখবোনা বসে –
শিশুর আর্তনাদ, নববধূর আত্মচিৎকার,
ধর্ম নিয়ে হিংসা-বিবেধ ।
আকাশে-বাতাসে ভাসতে দেবোনা আর
পোড়া-অর্ধ'পোড়া লাশের গন্ধ ।