সতীর বয়স সবে মাত্র ষোল,
বিয়ে হয়েছে কয়েক মাস আগে
স্বামী সতীনাথ, তিপ্পান্নের যুবক!
আগের বৌ মরেছে কলেরায়।
ছেলে, মেয়ে গোটা ছয়েক
আগের পক্ষের-
সতী ছিল বাবার নবম কন্যা;
অতি আদরে বেড়ে উঠেছিল
আগাছার মতো!
স্বামীর অবাঞ্চিত ভালোবাসা এঁকেছিল
শাঁখা সিঁদুরে,আটপৌড়ে শাড়ির ভাঁজে
স্পষ্ট ফুটে ওঠে যৌবন রেখা
মোড়ে বসে থাকা ছেলেদের
শরীরে আগুন জ্বালায়।
নিকোটিনে জ্বলে খাঁক হয়।
মধুর সম্ভাসনে,সতী লজ্জায় লাল হয়
আরো প্রাণবন্ত হয় যৌবন।
একদিন সন্ধ্যায় স্বামীর ঔষধ
নিয়ে ফিরছিল সতী।
বাসস্টপে বসে থাকা ছেলেদের
কথাতে আজ অন্য গন্ধ!
দ্রুত পায়ে হেঁটে আসে সতী
পিছন ফিরে চায় না সে।
পাড়ার মোড়ে ঢুকতেই চায়ের দোকানে
দেখতে পায় করিম চাচা,মধু ঘোষাল
আরো অনেক চেনা মুখ,
প্রাণে জল ফিরে পায় সে।
কিন্তু ভাবতেই পারেনা আসন্ন বিপদ
চেনা মুখ অচেনা হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে
রাতের অন্ধকারের সাথে মিলে যায়
সতীর আর্তনাদ।
সতীর সতীত্ব হারায় নিয়মানুসারে,
হা-ভাতের সংসারে।