কবিতা লিখতে লিখতে বড্ড বোরিং হয়ে গিয়েছি
খেরোখাতায় এই সব লিখে কী লাভ হচ্ছে বুঝছিনা
আমি কিছু ক্ষুদ্র দুঃখের জলপ্রপাত হয়ত নিজের বুকে দেখি
যেটা কোনো প্রাগৈতিহাসিক কিছুনা
কবিতা প্লটে বড্ড কাজ দেয়
কবিতা কবিতা সেতো লিখেই চলেছি
কিন্তু পাঠক খুঁজে পাচ্ছি কই?
হ্যাঁ আছে একজন
যে লিখে সে কি তার কবিতার পাঠক হতে পারেনা?
আসলে আমি জানি মানুষেরা আমার চেয়েও বড় দুঃখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রেলস্টেশনে,চায়ের দোকানে,হাটে-বাজারে,অফিস-আদালতে,আড্ডা খানায়,বাইজি বাড়ি....
আমি অনুভব করি।
তাহলে আমার এই ছোট দুঃখের মাঠে জন্মানো প্যাচপ্যাচানি মাখা ঘাস গুলো কেন আস্বাদন করবে?
আচ্ছা কবিতার জলসাঘর কেন হাউসফুল হয়না?
সিনেমা হলগুলিতে তরুণ তরুণীররা বড্ড ভিড় করে
ভেতরে গিয়ে দেখে
কত লীলাকীর্ত্তন!
ওরাও কি কম নাকি?
অন্ধকার চুপটি করে ওরাও তো হাতাহাতি....
অথচ বড্ড হিংসে হয় ওরা কেন একটা কবিতার বই নিয়ে প্রেয়সীকে বলেনা-
পাগলী তোমার সঙ্গে....
কিংবা
হঠাৎ নীরার জন্য....
কিংবা
বনলতা সেন....
আসলে এই সব পড়ে নিজেকে সেকেলে মনে হয়
আর সিনেমা সেতো বড্ড তাজা।
কবিরা দুঃখ দেখে নিজের ভেতর সেটা আনার চেস্টা করে
খেরোখাতা,ডাইরি ভরে যায় রূপোর হরফে।
পান্ডুলিপি হয়ত মাঝেমাঝে পান্ডুর রঙ হয়ে যায় পাঠকের অভাবে।
কবির যন্ত্রণার স্রোতে শুধু একটাই কথা ভেসে আসে
কবিতার ভেতরে আমাকে দেখ
দেখবে কে কবি নাকি পাঠক?