গভীর রাত্রে আকাশ ভেঙে যদি
বৃষ্টি নামে আমার বাড়ির ছাদে
মনে হয় বেড়িয়ে পড়ি চিঠি নিয়ে
সুখ দুঃখের গল্পের সেই রানারের মত।
সকালবেলা ভাতের গন্ধে উপোষ
দিতে ইচ্ছে করে।
মনে হয় একগ্লাশ জল খেয়ে আজ
কাটিয়ে দিই
ঘুরে বেড়াই ভবঘুরে পথিকবেশে
পেটে খিদে আস্ত ছুঁচোর ডন নিয়ে
গোত্তা খাই ঘুড়ির মত
পারদচড়া দুপুরবেলা।
মনে হয় বিকেলবেলা মারুতি
গাড়িটা পার্ক করে
ফুচকা নিয়ে ফুচকাওয়ালার সাজ
সাজি।
মেয়ে,বুড়োর হাতে তুলে দিই
ফুচকাবাটি
কিছুটা হোক রোজগার
যদিও রোজগারটা বড় কথা নয়।
আসলে এই সব দুঃখের ধারাপাতে
দুঃখের নামতা পড়ে দুঃখ মাখি
একদলা মাটির মত মুখে।
ইচ্ছে করে ঘরকুনো মন ছেড়েছুড়ে
বোহেমিয়ান মাতাল ঝত্বিক হয়ে
ফুটপাতে আস্তানা গাঁড়ি।
সংসারের পাঁচমিশালী,বউয়ের আদর
ছেড়ে ঘুরি পাগল বেশে ছাগল হয়ে।
ছোটবেলায় একটা কথা শুনেছিলাম
ধনী হয়ে গরীবের স্বপ্ন দেখা এক
ধরনের বিলাসিতা
পঙক্তিগুলো একই হল
অমিল কোথায় তোমরা বল
তোমরা বল?