তোমার জন্য খুলছি খাতা মনের
পাতা খুলে
তুমি হয়ত ঘুমিয়ে আছ রাজকুমারের
ঘরে
এই নিশুতি রাতে সিঁদুর রাঙা কপাল
গুজে
স্বপ্নে তোমার কত ইয়ার্কি ঠাট্টা
খেলা চলে
মদের নেশায় বুদ হয়েছ চোখের
ইশারাতে
আমার খাতা ডাকছে তোমায় ওহে
মায়াবতী
ভাবছ কি তাই এই অবেলায় তোমার
অপেক্ষাতে
কত রাত চোখ দুটো তাই এক পারেনি
হতে
অপেক্ষাতে অপেক্ষাতে শুধুই
অপেক্ষাতে
ঘুম যখন হয় স্বেচ্ছাচারী গনতন্ত্রের
যুগে
ভেড়ার পাল গুনতে গুনতে সকাল হয়ে
আসে।
চোখের নিচে কালি জমে গালভরা মলিনতা
চেয়ে থাকে সাদাকালো নীল পরীর খোঁজে।
যেই পরীটি ঘুম পারাবে আবোলতাবোল বলে
ঘুমিয়ে আমি তার বুকে গুঁজবো আমার মাথা,
বুকটি তার বালিশ হবে বলবে আমায় যাতা
সেই মেয়েটি শুধুই তুমি,আর কেউ হতে পারে?
মনের ভেতর টের পাই আমি মহাসাগরের ঝড়
মনের ভেতর হয়ে আছে কম্পাউন্ড
ফ্রাকচার।
না এসে কী ভালই করেছ ওহে বুদ্ধিমতী,
চালচুলোহীন ছেলের সঙ্গী লোনাধরা বাড়ি।
দেয়াল তার ভেঙে পড়ে পলেস্তারা খসে,
ভাতের হাড়ির রংটা বোধয় একটু বেশিই কালো,
ফর্সা হওয়ার জন্য বোধয় ওরাও বসে কাঁদে-
লক্ষ্মীটি কই লক্ষ্মীটি কই লক্ষ্মীছাড়ার ঘরে।
ভাঙা দেয়ালে কে যেন আজ স্কেচগুলো আঁকে,
মেয়েতো নয় মিশরের রানী ক্লিওপেট্রা হাসে।
ধরতে গেলে উধাও সবই ছলছুতোরি চলে
মনের ভেতর স্কেচগুলো।ঢেউ তুলে ঢেউ তুলে।
শুনবে তুমি ক্লিওপেট্রা কেমনে আমায় কাঁদায়?
আরে বাব সে হবে কেন?তুমিই আমায় কাঁদাও।
তুমি জানি শুনবে না মোর খাতার কান্নাকাটি
আমি,খাতা দুজনা আজ ইনসমনিক রোগী,
তাইতো খাতায় সযতনে ট্যাবলেট এঁকে রাখি।
ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমোও খাতা,ঘুমোও বাউন্ডুলে
বাউন্ডুলে খাতা নয়,আমিই নষ্ট ছেলে।