আমার চারপাশ দিয়ে কয়েকটি
রাজহাঁস ঘুরে ফিরে।
মায়াবী ভঙিতে,হাসিতে উৎফুল্লিত
হয়ে কখনো একটু হেয়ালী হয়ে
তাকিয়ে থাকে।
দু’চারটে কথা বলার সাহস সঞ্চয় করে
সামনে দাঁড়াই
কাব্যহীন ভাবে কথা বলতে চাই।
ওরা দেশলাইয়ের কাঠির মত জ্বলে
ওঠে ফস্ করে
এতো ধান্দাবাজ,তারছেড়া ছেলে।
আমার কোমল মনে পাথর বসে যায়।
ধাক্কার সাথে মিশে বাজখাঁই হয়ে
যাই।বুকে জমে বারুদ।
বারুদগুলো একত্রিত করলে কয়েকটা
বোমা হয়ত ফাটবে।
মানুষ মরবেনা
ভয় নেই
আমিই হয়ত জ্বলে পুড়তে থাকবো।
কয়েকটি বাক্য আজ পরিচিত আমার
সাথে।ধান্দাবাজ,তারছেড়া
সবচাইতে খাঁটি উক্তি এখন আমার
জন্যে।আমার ভেতর সুন্দর মনখানা,সুন্দর
স্বপ্নগুলি ফ্যাকাশে হয়ে যায়।বলতে
গিয়েও বলতে পারিনা।হয়ত পারি
রাজহাঁসগুলোকে
কিন্তু ভেতরটা দেখাতে পারিনা।
আমার ভেতরের প্রেমগুলো খুবলে খায়
আমাকে।
চারপাশের প্রেমগুলোকে হিংসে
করি।নিজেকে একাকী করে
রাজপথে হাঁটি।
সিগারেট মুখে পুরে দিই
বড় বড় ম্যানশনগুলোর দিকে তাকাই।
দালানগুলো চেয়ে রয়েছে আমার
দিকে।
ড্রাকুলার মত আদিম নেশায় মত্ত
দালানের পাখিরা।
পাখি থেকে জন্ম নেবে ছোট ছোট
পাখি মাতৃগর্ভের অমরা ভেঙে।
যৌনাঙ্গে জন্ম নিচ্ছে সুখ….
এই সব নিষিদ্ধ কথাগুলো ভাবি আর
হাঁটি
হাসি….
কাঁদি….
দাঁড়াই….
দু’চারটে কুকুর দেখি
ওরাও আমাকে দ্যাখে।
জরিপ করে ফেলি এই রাতে রোমিও
জুলিয়েটদের ফোনালাপ কত হতে
পারে?
চলছে হয়ত পুরোদমে
রাতভর চলবে….
ভোর হবে
তবুও প্রেমালাপ শেষ হবেনা হয়ত।
বাহ!কী সব ছাইপাঁশ ভাবছি
প্রেম কত সস্তা না?
প্রেমের ভেতর আজ আমি
নিকোটিনের গন্ধ পাই
নেশা ধরা কপোত কপোতীর ভেতর
রসায়ন শুরু হয়।
কিন্তু আমি একটি মনের আশায় হাঁটি।
প্রেম কতো তীব্র জ্বালা আমার
কাছে।
হিমালয়ে আরোহণের মতই কঠিন।
অনেক ভালো ভালো স্বপ্নকে কবর
দেই ক্ষোভে।
নিজেকে লম্পট করি,নষ্ট করি
সিগারেট শেষ করে।
পকেট হাতরাই….
আরেকটা আছে কি?
বুকখানা ঝাঁঝরা করে দেবো
রাজকুমারীদের জন্য।
ফস্ করে দেশলাই জ্বলে ওঠে।
মনে হয় ল্যাম্পপোস্টের আলো থেকে
আমার দেশলাইয়ের আলো বেশী
তীব্র।
মুখখানা বিরাম পায়না মধ্যরাতেও….
স্বপ্নগুলো ধেইধেই করে ঘুমিয়ে পড়তে
চায় কোলবালিশ নিয়ে।
আমি নিকোটিনের গন্ধ দিয়ে
জাগাই।জাগাতে চেয়েছিলাম
ধূপকাঠি দিয়ে।
কিন্তু পারলাম কই?
ওরা আমাকে গালিগালাজ করে
গালিগালাজগুলো গায়ে মাখিনা
কিছু বলিনা….
আরে আমি তো এরকম ছিলাম না
আগে।