আমি যখন অধিক চিন্তার ভেতর থাকি
তখন এক কাপ গরম চা কে শরবতের মত খেতেও দ্বিধাবোধ করিনা।
হোক সে আগুন গরম।
চিন্তাটাই খেলা করে যায় সর্বক্ষণ।
অনেক সময় ক্ষুধার্ত পেটও তখন তার খাদ্যের বেলুনকে ঘুম পাড়িয়ে রাখে
মস্তিষ্কে কোনো খাদ্য উন্মাদনা সৃষ্টি করেনা
যেন আমি চিন্তাটাকেই গলাধঃকরণ করছি।
আমি গভীর চিন্তার মাঝে থাকলে
স্বাভাবিক মানুষের মত সম্বিৎ ফিরে আসতে বড্ড সময় নেয়।
সকাল গড়িয়ে দুপুর,দুপুর গড়িয়ে বিকেল এমনকি কখন যে রাতের আঁধার নেমে আসে সেই ভাবে টের পাইনা।
আমি যে চিন্তার ভেতর থেকে কিছুই খাইনা তা না
ঠোটে একটার পর একটা সিগারেট গুঁজে চিন্তাটাকে আরো বেগবান করে তুলি।
ইদানীং আজেবাজে চিন্তা করেই আমাকে ঘুমোতে হচ্ছে
কোনো নগ্নদেহের কথা ভেবে আমার চোখ দুটোকে জোর করে বুজাতে চেয়েও পারিনা।
ব্লবফিশের দেহের সাথে মিল খুঁজে পাই আমার নিউরনের।
কী কুৎসিত!
আমি প্রতি রাতেই একপ্রকার অলৌকিক নারীভোগ করে
অন্ধকার নরম বুকে মাথা রাখি
আমার খাদ্যবস্তু এখন অন্ধকার বিবর।
ভাত ডাল দূরে সরে যায় প্রতি মধ্যরাতে।
প্রতি মধ্যরাতে কুকুরের জিহ্বা দিয়ে অন্ধকার লালসার স্বাদ নেই
আমার ভেতরের কুকুরটাকে ঘুম পারাবো বলে।
আমার ভেতরের কুকুরটা ঘুমিয়ে পড়ে পরপর কয়েকটা অন্ধকারে গর্ভসঞ্চার করে।
আমি সকাল বেলা একরাশ বমি করে ফ্লোর মাখিয়ে ফেলে বলি সেই ছোটবেলার কবিতাটা....
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
ভাল হতে হতে দেখ দিশা আমি কতটা খারাপ হয়ে গেছি
শুধু তোমাকে ভেবে
তোমার নরম বুকে মাথা রাখবো বলে।
এখন হ্যালুশিনেশনই আমার সব
আর সিগারেট
সেতো আমার একমাত্র খাদ্যবস্তু।