দু চারটে চায়ের স্টল চোখে পড়ে,
কেক রুটির দোকান,কনফেকশনারি।
তারপর স্তব্ধতা আমার ব্যক্তিগত স্বর্গে নেমে আসে।চাঁদের আলোর সাথে মাখামাখি খেলে ল্যাম্পপোস্ট।
আজ ওরাও পারে;আমিও পারি
(বলতে দ্বিধা হয়)।
আমার ব্যক্তিগত স্বর্গে কিছু নরক জমে রয়েছে।
ওরা স্বর্গকে মারতে চায়,কি সাহস!
অথচ স্বর্গরা নিশ্চুপ,ওরা আমাকে শুধু কাঁদায়।কাঁদতে কাঁদতে চোখ দিয়ে আলো ঝরে।
মন থেকে পেচ্ছাবের সেন্ট বের হয়
থুথু,গালাগালি ভালোবাসিনা।
আমার স্বর্গরা নিরুপায়।
যেমন একটি রমণী হাজার বলবান পুরুষের কাছে লজ্জিত।
খুঁজে পায়না বাঁচার আশা
লোভ নির্লোভের সাথে খেলা করে নারীর ইজ্জত।
আজ আমার মিনারের মধ্যে
লোভ নির্লোভের সাথে প্লাস-মাইনাস খেলা করে জিততে চায়।
অথচ আমি টের পাইনা
(এতটা ভাবুক হলে চলে?)
তবু আমি লোভকে কবর দেই অতি সঙ্গোপনে।
মানুষ হয়ে বাঁচতে শিখি।
চারপাশের পরিবেশ থেকে কিছুই শিখতে চাইনা।
কেননা প্রকৃতি আজ বিশাল আকাশ হওয়া শেখায় না।
দুঃখকে সুখের মধ্যে মুড়িয়ে রাখি।
খেতে দেই একধরণের অশ্রুযুক্ত বিদেশী ফ্রুট।
ভাল ভাল অমৃত খাবার।
দুঃখ তবু নষ্ট করে শরীর
ক্ষতের দানা বাঁধায়।
আর সুখ শুধু ঢেকে রাখতে চায় কম্বল জড়িয়ে।
বারবার হামাগুড়ি দেয়া শিশু যেমন
হাঁটতে ব্যর্থ হয়
আমার অবস্থাও ওরকমই।