হঠাৎ করেই ভেঙে যায় ঘুম
কে যেন নেমে আসে এই নিঝুম,বিশুষ্ক ক্লান্তমাখা রাত্রে
আমার শ্রান্ত লোমযুক্ত বুকের 'পরে।
তাকিয়ে বুঝতে পারি সে এখন হৃদপিন্ডের বিটের সাথে লেপ্টে আছে
ধকধক শব্দে ধ্বনি প্রতিধ্বনি তুলছে আমার পাশে।
লোনা ভাঙা দেয়ালগুলো হাঁ করে বোধহয় ভেঙে পড়বে এক্ষুনি
এই বিটের শব্দে,কিছুটা আঁচ পাই।
কে যেন পেতে আছে কান কিছু শোনার জন্যে
হয়তবা আমার ভেতরে জন্ম নেয়া কোনো কীট।
যেগুলো প্রতিনিয়ত আমার কপালে ঘাম এর দীর্ঘ রেখা
আর চোখকে সাদাকালো,বর্নান্ধ করে আর কানে শোঁ শোঁ মহাসাগরের গর্জন তুলে
ঢেলে দিচ্ছে হতাশার জীবন্ত বীজ বুকে,যা আজ বৃক্ষের রূপে আলোরিত,উদ্ভাসিত আর
হৃদপিন্ডের অলিন্দ নিলয়গুলোকে জড়িয়ে রেখেছে অমরার সাজে ডালপালা বিস্তার করে।
আমি বুঝতে পারি,কে যেন আমার সাথে জুয়া খেলে যায়
আমার ঘুমের মাঝে কে যেন কীটগুলোকে রাগিয়ে দিয়ে যায়
আর হৃদপিন্ডে প্রবাহিত ধমনী-শিরার শেকড় বাকড় আমার হৃদপিন্ড ঘুরে কোলাহল তুলে আমাকে ডুঁকরে কাঁদায়।
আমার কীটগুলো তখন মধ্যরাতে নিউরন পাতা উল্টায়
আর চোখে এঁকে দেয় রোষের পিঁচুটি,বিদগ্ধ ক্যানভাস।
আমার চোখে জল নেই;বয়েস হয়েছে তো।শুধু নিউরন পৃষ্ঠা খুলে যায়।
ভাঙা দেয়ালের মাঝে আমার বিদগ্ধ পান্ডুস্মৃতি শিশুর মত হামাগুড়ি দিয়ে যায় শুণ্যের 'পরে।