রাতের আকাশের দিকে তাকাই
গ্রীল ধরে ঠেস দিয়ে আছি।বাদামী পাতার
মত গোল ফুটবল
নিঝুম প্রকৃতি সেজে আলো দিয়ে ছড়াচ্ছে অমোঘ
নেশা।
গোল সেই ফুটবলটি কাউকে হাসাচ্ছে কাউকে
কাঁদাচ্ছে।
আমার বুকের ভেতরে ভিজে মাটির সোঁদাগন্ধ
ভেসে আসছে সহস্রযুগের হয়ে।
টিকটিক করে হৃদপিন্ডে কিছু পুরোনো ব্যাথা
পড়ন্ত বিকেলের লাল আকাশের মত জেগে উঠে,
রংধনুর স্মৃতির মলাট সাদাকালো ভেসে উঠে।
নিঝুম এই রাত্রিতে একটি দোকান চোখে পড়ে।
মনজিতের চায়ের দোকেনের পেছনে বসে
গাঁজাখোর দিচ্ছে শুকনো গাছের গড়্গড় টান।
কুকুরগুলো লেজ বাঁকিয়ে লকলকে জিভ দিয়ে
রুপোলি রাত্রিতে করছে স্নান বিস্কুটের আশায়।
আর আমি দাঁড়িয়ে দেখছি একা একা।
একা থাকা বেশ ভাল লাগে এই সময়
পাঞ্জাবীর গুটানো আস্তিনে হাতের
আঙ্গুলগুলো
কিছু পাওয়ার আশায় থাকে
ধরতে মন চায় নরম শরীরের ভালবাসা।
এই ভালবাসা চলছে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে
পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়ছে
নরম হাতগুলো উষ্ণ হচ্ছে বেশ
উষ্ণ হোক আমি উষ্ণ করি আমার মনখানা
হৃদপিন্ডের ভেতরে জমা কালো তুষারের দিনলিপি
চাঁদের সাথে শেয়ার করি
চাঁদের সাথে হোক আড়ি।
সপ্তর্ষিরা সাজিয়ে রাখুক পৃথিবী মহাকাল
ধরে
মহাকাল ধরে এই রাত নেমে আসুক,
কেউ একজন গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকুক
আমার মত পাঞ্জাবীর বুকপকেটে জোনাকি
পোকা নিয়ে।