যে পথ ধরে হেঁটে চলেছি তাতো মানুষের চোখের জলে পিচ্ছিল অথচ আমার সেই পথে হেঁটে যেতেই ভালো লাগে।শহরের বমি সাফ করতে করতে চলেছি।দেখছি মানুষ কাঁদছে।স্কাইস্ক্রেপারের মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে  আছে মহীরুহগুলি।আমার চোখে অসুখ তবুও দেখার বড় সাধ সেই অবিমিশ্র সুখের দেশ যেখানে গেলে মানূষ বলতে পারে "ভালোবাসি ভালোবাসি "।
     দেখছি মানুষ অহঙ্কারে স্ফীত হয়ে মাথা উঁচু করে হাঁটছে।আমার পথ দেখতে পাচ্ছে না।তাদের মনে অসুখ, চোখে অসুখ।খালি পায়ে হাঁটছি।কষ্টতো একটু হবেই।তবু ভয়ংকর সুন্দরকে আমাকেতো পেতেই হবে।মা ডাকছে পিছন থেকে " খোকা ও পথে যাসনে।" স্ত্রীও জলভরা চোখ নিয়ে ডাকছে,আমার চোখের অসুখ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ।বাতাসে বারুদের গন্ধ, মানুষের গায়ে আমিষের গন্ধ। বারুদ খেয়ে কাক যেমন মরে না চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে, কাকটার ঝিমুনি আসে মানুষও তেমনি বারুদের মতো মিথ্যে ভালোবাসা খেয়ে ঝিমুচ্ছে।


                আমার ভালোবাসা ছিল একধাপ উঁচুতে।স্ত্রীকে এতো ভালোসতাম এতো ভালোবাসতাম যে তা আগুনের মতো।আমার স্ত্রী গিলতে না পেরে আমাকে সহজলভ্য ভেবে তাচ্ছিল্য করে বলল,"তোমাকে আমার ঘৃণা হয়, এতো ভালোবাসা এই রক্ত মাংসের শরীরে দিয়ে চোখে অসুখ নিয়ে বসে আছো?এটা ভগবানকে দিলে তুমিতো ভগবানকে পেয়ে যেতে!" আমি হাঁটছি একা বহুদিন ধরে।যদি সেখানে গিয়ে ফিরে আসতে পারি মানুষের হাতে ধরিয়ে দেব একশ আটটা নীলপদ্ম যা চোখে একবার স্পর্শ করলে  চোখের অসুখও সেরে যাবে।
                      কিন্তু আমি পৌছে গেলে সেখান থেকে পুনরায় এই অন্ধকারের জগতে ফিরে আসতে পারবো কী?যদি না পারি কে দেখবে মানুষের নির্বাক ঝিমুনি?কে তখন এইসব রজনীর তারাগুলি গুণে আলোকের সারাৎসারে পৌঁছে যাবে ছন্নছাড়া বালকের মতো?


                           ****