এত কবি তবু কাঁদছে কবিতা কেন আজ  ?
কবিদের হাত ঘুরে ঘুরে
কবিতাও হয়তো বা বাজারের পণ্য হয়ে গেছে ।
যে অতৃপ্তি দুঃখের দহন
অসুখের অসাধ্য সাধনা থেকে
এক একটি কবির জন্ম হয় ,
সে দহন জ্বালা সমাচ্ছন্ন কবিদের হৃদয়ের তারে আজ
বাজে না সেতার ,
এত কবি তবু হাসে না কবিতা দেখি আর ।
যাদের দেখছি এখন কাব্যের জগতে
তারা তো সকলেই কবি নয় ,
কেউ কেউ কবি ।
কখনো কখনো তাদের হাতেই
দু একটি কবিতা আয়েসের কোমল গদি ছেড়ে
নেমে আসে পথের ধুলায় ।
যখন ভেঙ্গে যায় জনসভা ধর্ষিতা নারীর পদতলে
সে কবির বাণী হয়ে যায় স্থির ,
পড়ে থাকে অনাদৃত দু একটি কবির ছিন্ন শির ।


এত কবি তবু কাঁদছে কবিতা কেন জানো ?
তাদের অনেকেই ভাবে
কবিতা ছেলের হাতের মোয়ার মতো
একটু কিছু লিখলেই গদগদ হওয়া যায় ।
কেউ ভাবে না তারা নিষাদের তীক্ষ্ণ বাণে
বাল্মীকির হদয় হয়েছিল ক্ষত ,
দুঃখের তীব্র দহনে হৃদয়ের সব কটি তারে
উঠেছিল করুণ ঝংকার ,
বেদনার তীব্র হাহাকার ।
হেসেছিল পৃথিবীর প্রথম কবিতা ।


কবিতার বুকে সে হাসি কোথায় আজ ?
কাঁদছে কবিতা ।
এত কবির ভিড়ে কবিকেও খুঁজতে হয় ,
খুঁজতে হয় নিষিদ্ধ নারীর আঁচলে
ভিখারির ভিক্ষার থালায়
ধর্ষিতার অশ্রুর বন্যায় ,
দুর্বিনীত বজ্রের হুঙ্কারে আর পথের ধুলায় ।
হয়তো এমনও হতে পারে
কবিদের অতৃপ্তির দহন থেকে
হাসে না কবিতা আর ,
শুধু পড়ে আছে মুঠো মুঠো অন্ধকার
বিলাসের কোমল গদিতে কবিতার বুকে যেন
সে এক মরণের তীক্ষ্ণ প্রহার ।


****************************