পতিতপাবন আমাদের সঙ্গে
একাদশ শ্রেণিতে  পড়তো।
ভারী লাজুক সরল ছেলেটি
ক্লাশে রোজ পড়া করে আসতো
বিশেষ করে সংস্কৃতের ক্লাশে।
সংস্কৃতের পন্ডিতমশায় খুব বদমেজাজী
ধাতুরূপ জিজ্ঞাসা করলে আমার কেউ বলতে পারতাম না বেঞ্চের উপরে অসহায়ভাবে কান ধরে
দাঁড়িয়ে থাকতাম।
একমাত্র পতিতপাবন গড় গড় করে পড়াটা মুখস্থ বলে হাসতে হাসতে বেঞ্চে বসে পড়তো।
অনেক সময় পন্ডিতমশায় ওর কাছে এসে
ভালোবেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন।
পতিতপাবন সংস্কৃতের প্রফেসর হয়ে
ইউনিভার্সিটিতে পড়াতে চেয়েছিল।


                    বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট
বেরুলে দেখা গেল আমরা সবাই সংস্কৃতে
পাশ করেছি  একা পতিতপাবন ফেল করেছে।
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ সংস্কৃতের মাস্টারও
হয়েছিল কিন্তু পতিতপাবন গলায় দড়ি দিয়ে মরেছিল।


                  সংস্কৃতের পন্ডিতমশায় শুনে
আশ্চর্য হয়ে মুখ কালো করে বলেছিলেন, " এ কখনো হতেই পারে না,পরীক্ষকের খাতা দেখায় মস্তবড় ভুল হয়েছে।
পতিতপাবন সংস্কৃতে  ফেল করতে পারে না "।
                      এখনো কাক ডাকা গহন দুপুরে
আর কেউ শুনতে না পেলেও ওর কাছে বসতাম বলে
আমি শুনতে পাই  , কানে বাজে পতিতপাবন সংস্কৃতের ক্লাশে পেছনের বেঞ্চে দাঁড়িয়ে পন্ডিতমশায়ের চোখে ধুলো দিয়ে পড়া মুখস্থ বলছেনা।
যা তা ভুল বকছে
কেবল মুখ নাড়ছে আর বলছে," এবং যে  এবং যে এবং যে.......


                      ****