**************************************
একশ বছর পরে ধরণীর বুকে থাকব না যদি
কেউ যদি পড়বে না আমার কবিতা ,
কেন তবে রাত জেগে কবিতার সাথে করি খেলা ?
কেন আজ দারিদ্র্যের পুরানো শতচ্ছিন্ন কাঁথার মতন স্তন
আমার কানের কাছে বলে তার কথা ,
নিষ্পেষিত যৌবনের ব্যথা ?
কেন আর কুমারীর চোখের কাজল ছবি আঁকে
সুর তুলে পায়ের নূপুর দুই বেলা ,
খেলা করে সুন্দর মেখলা ?
জানি ,এই দুটি চোখ হয়ে যাবে ক্ষয় ,
সেদিন বর্ষণোন্মুখ মেঘগুলির স্তব্ধ গম্ভীর বিষাদের ছায়া
দেখবে না মানুষের কপট হৃদয় ।
সেদিনও মেঘ রোদ শিশিরের জল ,হাঁস আর ঘাস
এমন সুন্দর রূপে যদি করে খেলা ,কে দেখবে সেইরূপ ?
কে দেখবে পতিতার উচ্ছলিত অশ্রু আর ?
হয়তো দেখবে না কারো চোখ মেঘদের রূপের বাহার
এইখানে কোনদিন ; হয়তো বা একশ বছর পরে
মরুময় মানুষের মন দেখবে না দারিদ্র্যের শুষ্ক হৃদয় ,
তবু জানি সব মায়া সুন্দরের অভিসার শেষ হবে
দিনান্তে একদিন সব ছেড়ে যেতে হয় ।
**********************************************************