বেশ করে ওভারটাইম করে বাড়ি ফিরছি,
পয়সার খুব দরকার,
তাড়াহুড়ো করে অতি কষ্টে
এগারোটা ছত্রিশের লোকাল ধরলাম
চারিদিক ফাঁকা,
সব সিট ফাঁকা হলে যা হয়
কোনটায় বসলে বেশি আরামপ্রদ হবে গুলিয়ে যাচ্ছে,
পিছনের দিকে আয়েশ করে বসে
জুতো খুলে পা-দুটো সামনের সিটে মেলে দিলাম।


খুব মন্থর গতিতে ট্রেন চলছে,
লাইন গুলোর ক্রসিং পার করছে হাল্কা দুলুনি
বাইরে অন্ধকার।
হাল্কা চাঁদের আলো,
দেখি ভালো পোশাক পরা একটি লোক
লাইনের ধারের পাথর সরিয়ে সরিয়ে কিছু খুঁজছে!
সিগনাল না পেয়ে ট্রেন দাঁড়িয়ে গেল।


আমি জানালা দিয়ে তারস্বরে চিৎকার করলাম
ও মশাই ,
আপনি কি খুঁজছেন ?
এই অন্ধকারে ?
কিছু বলে না।
মাথা তুলে একবার আমায় দেখে আবার খোঁজে।


আবার বললাম আপনি পাগল নাকি ?
কি খুঁজছেন ?


হটাৎ দেখি লোকটা
আমার জানলার একদম কাছে এসে গেছে,
আর আমায় বলছে-
আপনিও নেমে আসুন, খুজুন
আপনারও খুব দরকার,সবার দরকার।
আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললাম,
কি খুঁজবো ?
চাপাস্বরে লোকটি বলল,
মনুষ্যত্ব।
বিরক্তি লাগলো আমার,
ডানদিকের জানালা থেকে বাদিকের জানালায় এসে বসলাম।


বাইরে তাকিয়ে চমকে উঠলাম,
দেখি হাজার হাজার অগুনতি লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে,
আর ইশারায় আমায় ডাকছে,
বলে নেমে এস, তোমারও দরকার!


হটাৎ গাড়িতে জোর একটি ঝাকুনি হল
ধড়মড় করে উঠে পড়লাম,
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।