মেলে ধরেছি শীত পার করা শরীর
বুকের ভিতর বোবা কোকিল ডেকে উঠলো অকস্মাৎ,
‘আমি-আমি’ করে একরাশ ছেঁড়া যন্ত্রণা
আকাশে দুদণ্ড ভেসে থাকতে চায়
জ্বলন্ত সূর্য হবে এই আশায় একমুঠো আনন্দ যখন কান্না হয়---
লোকাল ট্রেনের কামরায় মচমচে চালের পাঁপড় বেচে
বছর দশেকের শীর্ণকায় বালক,
আমি ওর হাঁপিয়ে যাওয়া এক প্যাকেট দুঃখ
কিনে কামড় বসাতেই চমকে ওঠে সকল যাত্রী
ছুটন্ত ট্রেনের সাস্পেনশনে নাচে কাল,
বিগত বসন্তে পাঁপড় কি আরও মচমচে ছিল!
বাড়ি ফিরে মঙ্গল-কাব্যে নাক ঘষে অনর্থ গুনি
সারাদিনের কুড়িয়ে পাওয়া,
প্রকাশকের গায়ের আঁশটে গন্ধ; পকেট ভর্তি শুঁটকী মাছ
আমাকে ঘুমাতে দেয় না,
কিভাবে ঠাঁই পাবো? এত ভিড়! এতো ঠেলাঠেলি!
আমার শক্ত হয়ে যাওয়া ঘাড় ঘোরাতে পারিনা,
কেউ পশ্চাতে পা ধরে টানে; কেউ বা সমুখে হাত,
রং-রং শুধু রং!
আমি একবুক হাওয়া দিয়ে পালক ওড়াই;--আমার সুখ শিরস্থানের,
ভাসিয়ে দিই হঠাত আসা দখিনা বাতাসে,
ভয় কি! বসন্ত এসে গেছে!


গ্রীবা উঁচু করে কোকিল ডাকছে মরা গাছটার ডালে।