একটা মানুষ যতটা শূন্যতা বয়
আদীগন্ত ছাড়িয়ে
একটু একটু করে নিভৃতে,
গারো পাহাড়ের  উপর
একাকি বৃক্ষ যেন
বৃক্ষের তলে পালকের টুপি পড়া কেউ
বিষন্ন মেঘ বোনে।
সেই সব মানুষেরা  এমন শূন্যতা ছড়ায়
জলের দিক থেকে--- বাষ্পের মতো
আগুনের দিক থেকে--উষ্ণতার মতো
পাশ ফিরে শুয়ে থাকে
ডালিম ফোটার দিনে
হৃদপিন্ড বয়ামে ভরে
শীতল বালির বিছানায়।
সফেদ সমাহার তার হাতের মুঠোয়
ছড়ায় পথে পথে অন্ধকারে
নিজের ছায়ায় ক্লান্ত মেখে
দুরত্বের দূরবীন পাজরের হাড়ে
শতায়ু মাকুন্দা সন্ন্যাসীর
দিন গুজারান।
সব শুরু থেমে আছে,
নতজানু পাথর যেন
থমকে আছে কারো পথে
পাতার পতন স্পর্শ
যত দিন পায়নি কেউ
তাকে যেতে দিলে
মেঘের ব্যাধি যেন পাহাড় চুড়ায়
শুভ্র অনাবাদি জননীর
কাকড় প্রসব হুহু জলে।
অদুর নগর-সন্ধ্যায় একাকি দীপ
বিষন্ন আলো নিয়ে বৃদ্ধা রমনির মত
জ্বলে জ্বলে নিভে যায়
পরিচিত হাতের ইসারায়,
আনন্দ ধৈর্যে যে লেবু-ফল পেকেছিল
মাতৃ-বোটায়
কি আশায় ছেড়ে যায় কোল
পাথর বুক যার নেই
ভেসে যায় অন্ধকারে পাথর জলে
চমৎকার সূর্য যেন এক
নব্য নাবিকের চোখের আশ্চর্য নিয়ে
একাকি ভেসে যায়
সুতাটি কাটার সময় কিছু আধুলি
বেঁচে রয়  হিসেবি আতোতায়ীর পকেটে
নিরেট নিঃসঙ্গ নদীর মত তারা
বয়ে যায় সচেতন সীমান্ত ভেঙে।