স্তব্ধ দুপুর-দিন, ক্যালেন্ডারের পাতায়
নিরবে নিরবে ঝরে বালি ঘড়ি
জীবন এক চক্রান্ত যুদ্ধের ময়দান
জমিনে ছড়ানো তার সহস্র সৈন্য সম্ভার।
এ জীবন --- পৃথিবীর ভালোবাসা,
শিশুর মৃদুল মুখ, জননীর উদ্বেগ
পিতার প্রসারিত হাত
ভোরের কোমল রোদ, কচি পাতার ভিড়,
কে সাজায় এ চক্রব্যূহ, সমর কৌশল।


শিতল জলের মাঝে বায়ুভুক জলযান
কে শেখায় তারে জলের ভাষা,
সন্তরন শেখার আগে পদ্মের মূলে টান
নিয়ে যায় তারে আর জীবনে,
কোথায় কোন মেদুর ফণীমনসা বন
কে শুনায় তারে শোক সংগীত,
পালকে আঁধার অমা অচ্ছুত চাঁদখান
সৌম্য ঐশ্বর্য তার ক্লেদহীন হাসি।


দেব দূত স্তনবৃন্তে মুখ রেখে দেখে
কি নিগূঢ় কৌটিল্য শাস্ত্র তার -----
জননীর হেসেলে, পিতার জমিনে,
পিঠাপিঠি ভাই হাতের রাহাখরচ শেষে
গুটিয়ে নিয়েছে পুরোনো ঠিকানা
চলে যাবে রাতের শেষ বাতি নেভার আগে,
শেষ ট্রেনে --- তেড়ে আসছে নিরব হুইসেল।


ডানাওলা ঘোড়ার খুড়ের আঘাতে
রাতের আকাশে ছড়ায় নক্ষত্র ধুলো
ক্লান্ত বালিশে জীবনের অস্ত-উদয়;
মিনারে উড়ে সুললিত সুর,
মগ্ন পাঠক আওয়াজে আওড়ায়
মিশে যাও মিশে যাও,জীবন অন্য কোথাও
এক দিন সুবসাদিকের সময়
সমস্ত অনুতাপ, ক্লেদ,মনস্তাপ নিয়ে
উবে যাব এই সব মন্বন্তর কাল।